শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৫:২৮ সকাল
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ০৫:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. আতিউর রহমান বললেন, বিশ্বাসের ঋণ বন্ধ করতে হবে

জুয়েল খান : মোট খেলাপি ঋণের ২৮ শতাংশই এলটিআর বা বিশ্বাসের ঋণ। বিশ্বাসের উপরে ভিত্তি করে ঋণ দেয়া হয় ফলে টাকা আদায় করা যায় না। এই লোন কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ নজর দিতে হবে। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান খেলাপির তালিকায় না আসার কারণ হচ্ছে তারা রিসিডিউল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাংক যখন রিসিডিউল করতে চায় না তখন তারা উচ্চ আদালতে গিয়ে স্থগিত আদেশ নিয়ে আসে ফলে তাদের ঋণখেলাপি বলা যায় না এবং এই ঋণের টাকার পরিমাণ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার মতো। তাই ঋণখেলাপি সমস্যার প্রকৃত সামাধান করতে হলে আদালতের সহযোগিতা লাগবে এবং আইনের পরিবর্তন করতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, সরকার যেভাবে সংসদে ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করছে এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। ঋণখেলাপিদের নাম প্রকাশ করার ফলে এক ধরনের সামাজিক সচেতনতা বাড়বে। ঋণখেলাপিরা যে আমাদের জন্য বড় সমস্যা সেটা ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারছে। সরকার খেলাপিদের নাম প্রকাশ করে জবাবদিহিতার জায়গা তৈরি করছে। সরকার যেহেতু খেলাপিদের তালিকা প্রকাশ করেছে এখন তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক এবং আর্থিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু খেলাপিরা বলছে যে, তারা খুব খারাপ অবস্থায় আছে, ব্যবসায় করতে পারছে না, তাহলে তারা কি দামি গাড়িতে চড়ছে না? বিলাসবহুল বাড়িতে বসবাস করছে না? বিজনেস ক্লাসের বিমানে যাতায়াত করছে না? প্রতিষ্ঠানে লোকসান হলে সাধারণ জীবনযাপন করার কথা। সরকারের উচিত হচ্ছে খেলাপিদের থেকে এসব সুবিধা থেকে দূরে রাখা। সকল দপ্তরে বলে দেয়া যে খেলাপিরা ভিআইপি এবং বিলাসবহুল সুবিধা নিতে পারবে না, যতোক্ষণ পর্যন্ত ঋণের টাকা পরিশোধ না করছে।

তিনি আরো বলেন, অনেক ঋণখেলাপি আছেন যারা ব্যবসায়িক কারণেই খেলাপি হয়েছেন, তাদের ইন্সট্রুমেন্ট সহায়তা দিতে হবে যাতে তারা খেলাপি থেকে সরে এসে নিয়মিত ব্যবসায় করতে পারে। এজন্য ব্যাংকের হাতে কিছু ইন্সট্রুমেন্ট তুলে দেয়া উচিত। এই ইন্সট্রুমেন্ট দেয়ার আগে ব্যাংকগুলোকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে যে, কি কারণে ঋণখেলাপি হলো এই তথ্য ব্যাংকগুলো যেন বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়। এটা করতে পারলে একটা সঠিক ধারণা তৈরি হবে যে, ঋণখেলাপিদের মধ্যে কতোজন প্রকৃত খেলাপি আর কতোজন ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করার জন্য খেলাপি হয়েছে। যারা আমদানি, ফরেন এক্সচেঞ্জ এবং এলসির সঙ্গে জড়িত এরাই বেশি খেলাপি হয়েছে। খেলাপি ২৮ শতাংশই আমদানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এরা এলসি খুলে ৯০ দিন কিংবা একশো দিনের মধ্যে বিদেশিদের টাকা পেমেন্ট করবে এমন শর্তে। কিন্তু তারা আমদানিকৃত পণ্যটা বিক্রি করে দেয়। বিক্রি করে ব্যাংককে বলে যে, পণ্য পচা, পণ্য ঠিকভাবে আসেনি কিংবা আমি পণ্য বিক্রি করেছি এখন আমাকে লোন দেন। এভাবে লোন নেয়। যেহেতু আগেই পণ্য বিক্রি করে টাকা খেয়ে ফেলেছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য আর করছে না ফলে এই লোনটাই খেলাপি হয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়