শিরোনাম
◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন ◈ আজ শপথ নেবেন দেশের ২৬তম প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ◈ আরপিও সংশোধনের ধাক্কা: বিএনপিতে যোগ দিতে বিলুপ্ত হচ্ছে ছোট দল? ◈ দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়বে, আসছে শৈত্যপ্রবাহ ‘কনকন’

প্রকাশিত : ২৫ জুন, ২০১৯, ১০:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২৫ জুন, ২০১৯, ১০:৫৩ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আষাঢ়েও নেই বৃষ্টি, প্রখর তাপে অতিষ্ঠ মানুষ, বাড়ছে রোগবালাই

ডেস্ক রির্পোট : যে মাসে তুমুল বৃষ্টি হওয়ার কথা সেই আষাঢ়ে এখন প্রকৃতিতে বিরাজ করছে বৈরী আবহাওয়া। সূর্যের প্রখর তাপে এবং ভ্যাপসা গরমে মানুষ ও পশুপাখি হাঁসফাঁস করছে। মাঝেমধ্যে হালকা বৃষ্টির দেখা মিললেও বৃষ্টি শেষে আবার ভ্যাপসা গরম পড়ছে। বাংলাদেশ প্রতিদিন

আবহাওয়া অধিদফতরসূত্রে জানা যায়, বর্তমানে দেশে মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত কম ও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। আর এ অবস্থা আগামী দুই দিনও অব্যাহত থাকবে। ফলে বর্ষাকালেও রাজধানীবাসীকে গ্রীষ্মের দাবদাহে পুড়তে হচ্ছে। আর গরম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ বিভিন্ন রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশেষ করে পানিশূন্যতা, হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ও ভাইরাস জ্বরে আক্রান্তের পরিমাণ বেশি।

সোমবার আবহাওয়াবিদরা জানান, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর ফলে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয় আছে তাই বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কম। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ৩৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা বর্ষাকালের তুলনায় বেশি। বর্তমানে ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, সৈয়দপুর, খুলনা, যশোর, কৃষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, নোয়াখালীসহ রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দুই দিন আবহাওয়ার ধরন একই রকম থাকবে।

চিকিৎসকরা জানান, গরমে প্রচুর ঘাম হওয়ায় শরীরের পানি বের হয়ে যাচ্ছে। এতে পানিশূন্যতায় অনেকে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। কারও কারও রক্তচাপ কমে যাচ্ছে। এজন্য চিকিৎসকরা প্রচুর পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের বাইরে যেতেই তীব্র রোদে তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এর ফলে অনেকের শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে আসছে। আর এ সুযোগে শরীর বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। এজন্য এই সময়ে ভাইরাস জ্বরের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আর জ্বরাক্রান্ত গায়ে প্রচণ্ড  ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কাজের জন্য যাদের নিয়মিত ঘরের বাইরে যেতে হচ্ছে তাদের হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। হিটস্ট্রোকে সাধারণ একজন রোগীর শরীরে ব্যথা হয়, পিপাসা লাগে, শ্বাসকষ্ট হয়, মাথা ব্যথা করে, চেতনা লোপ পায়। একপর্যায়ে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। এ অবস্থায় দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিতে না পারলে রোগী মারাও যেতে পারে।

এ ছাড়া গরমে পিপাসা মেটাতে অনেকে বাইরে থেকে পানি, আখের জুসসহ শরবত কিনে খাচ্ছেন। এগুলো পানিবাহিত রোগের অন্যতম উৎস। এ থেকে টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া, হেপাটাইটিসের মতো পানিবাহিত রোগ বেশি দেখা যায়। এজন্য এই সময়ে বাইরের পানি ও শরবত-জাতীয় পানি পান না করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

আইসিডিডিআরবির মুখ্য চিকিৎসক জানান, ‘গরমে মানুষ পিপাসায় বেশি পানি পান করে। কিন্তু শহরে ওয়াসার সরবরাহকৃত সব এলাকার পানি বিশুদ্ধ নয়। আবার নিম্ন আয়ের মানুষ পানি ফুটিয়ে খায় না, এতে রোগবালাই বৃদ্ধি পায়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়