শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:৫৯ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুন, ২০১৯, ১২:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএসটিআইকে হাইকোর্টের তাগিদ, নিয়মিত সব পণ্যের ল্যাব পরীক্ষা করতে হবে

নিউজ ডেস্ক : ঢাকাসহ সারাদেশে নামি-দামি ব্র্যান্ডসহ সকল পণ্যের মান ঠিক রাখতে বছরজুড়ে এর ল্যাব পরীক্ষা করার উপর তাগিদ দিয়েছে হাইকোর্ট। বিএসটিআইকে নিয়মিতভাবে এ পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। আদালত বলেছেন, এরকম অভিযোগ পাই যে পণ্যের উপর ল্যাব পরীক্ষা করার আগে লেনদেন হয়ে থাকে। যদি এরকম কিছু শুনতে পাই তাহলে দুদকে নয়, সরাসরি কারাগারে পাঠিয়ে দেব। এই লেনদেনের সঙ্গে যত বড় কর্মকর্তাই জড়িত থাকুক না কেন। ইত্তেফাক

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল রবিবার এই আদেশ দেন। বিএসটিআইয়ের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেছে, কোম্পানিগুলোর দেওয়া স্যাম্পলের ভিত্তিতে ল্যাবে পুনরায় পরীক্ষা করে ৫২ পণ্যের মধ্যে ২৬টি মান উত্তীর্ণ করেছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো মান ঠিক না রেখে আবার পণ্য বাজারে ছাড়তে পারে। সেজন্য বাজার থেকে দফায় দফায় স্যাম্পল সংগ্রহ করে পণ্যের ল্যাব পরীক্ষা করতে হবে।

হটলাইন চালুর নির্দেশ :

ভেজাল খাদ্যপণ্য ও পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ভোক্তারা যাতে যে কোন সময় অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য দুই মাসের মধ্যে হটলাইন সার্ভিস চালু করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত বলেছে, ওই হটলাইন চালুর পূর্ব পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি নম্বর (০১৭৭৭৭৫৩৬৬৮), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩৩৩ এবং জাতীয় হটলাইন ৯৯৯ এর মাধ্যমে ভোক্তারা যেন ছুটির দিনসহ ২৪ ঘন্টাই অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া এই অধিদপ্তরকে এখন থেকে উপজেলা পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করার কথাও বলেছে আদালত। একইসঙ্গে আগামী ১৯ আগস্ট এই আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বিএসটিআই, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্ষমা চাইলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান

ভেজাল ও মানহীন পণ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করেছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক। সে কারণে তলব আদেশে গতকাল তিনি হাইকোর্টে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তাঁর আইনজীবী ব্যারিস্টার কামাল-উল আলম বলেন, আমাদের জনবল সীমিত। এরপরেও আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিছু পণ্য বাজার থেকে জব্দ করেছি। আদেশ বাস্তবায়ন করেছি। আদালত বলেন, যখন বাস্তবায়ন করার দরকার ছিলো তখন করেননি। এরপরই আদালত ক্ষমার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।

বিএসটিআইয়ের পক্ষে আইনজীবী সরকার এম আর হাসান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষে কামরুজ্জামান কচি ও সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাসুম আরেফিন শুনানিতে অংশ নেন।

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়