সাইদুর রহমান : স্মার্টফোনের দাম বাড়বে, মোবাইলে কথা বলবেনÑ লাগবে অতিরিক্ত টাকা। খরচ বাড়বে ইন্টারনেটের। দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে চিনি, গুড়া দুধ ও ভোজ্যতেলের দাম হবে আগের তুলনায় বেশি। বাড়বে বাচ্চাদের আইসক্রিমের দাম।
দেশি ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, সালোয়ার কামিজ কিনতে আগামীতে লাগবে অতিরিক্ত খরচ। পাড়া-মহল্লার রেস্তোরায় ১শ টাকা খেলে সরকার পাবে সাড়ে ৭ টাকা। কম্পিউটার-ল্যাপটপ কিনবেন, বাজেটের অতিরিক্ত টাকা সঙ্গে নিয়ে যাবেন দোকানে। গরিবের (হুইস্কি-মদ) সুখ টানেও লাগবে বেশি টাকা।
মধ্যবিত্তের বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেই টিআইএন থাকতে হবে। বাড়তি চাপ পড়বেই। এমনিতেই গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎতের প্রি-পেইড সংযোগের নামে (কার্ড সিস্টেম) গলাকাঁটা হচ্ছে। বিল সিস্টেমের পরিবর্তে কার্ডে চলে যাওয়ায় প্রতিমাসে ভাড়াটিয়াদের অতিরিক্ত ৩শ থেকে ৫শ টাকা দিতে হচ্ছে। ১৩ জুন ৫শ টাকার রিচার্জ করার পর মোবাইল ক্ষুদে বার্তায় বিদ্যুৎ সাহেব জানান দিলেন, ব্যালেন্স আছে ৩৪৮.৭৯ টাকা।
৫শ টাকার মধ্যে চার্জ ৯০টাকা, ভ্যাট ২৩.৮ টাকা, বাকিটা সম্ভব মিটার চার্জ। এভাবেই গরিবতো মরেই যাচ্ছি। আগামীতে আরো মরবো। নিজে বাঁচতে না পারলে উন্নয়ন দিয়ে কি করবো? এবারের বাজেটে ধনীদের অনেক ছাড় দেয়া হয়েছে। ফ্লাট এবং জমি কিনলে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে। সারচার্জেও ধনীদের ছাড় দেয়া হয়েছে। আগে সোয়া দুই কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়ি-গাড়ির মতো সম্পদ থাকলে সারচার্জ দিতে হতো।
এখন তিন কোটি টাকা পর্যন্ত সম্পদ থাকলে সারচার্জ দিতে হবে না। আনন্দ উল্লাসের কিছু নেই। তবে আনন্দিত হবেন ধনীরা : যারা রাজপথে মিছিল করে বাহবা দেবেন। কিন্তু গরিবরা সেই আনন্দে শরিক হবেন কীভাবে? কেননা ধনীদের ধনী হবেন, আর গরিবরা আরো গরিব হবেন। ফেসবুক থেকে