শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ১৩ জুন, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ১৩ জুন, ২০১৯, ০৩:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাগেরহাটে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে ১২ খাল পুনঃখনন

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাট: বর্তমান সরকারের ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় ১২টি খাল পুনঃখনন শুরু হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিতে “৬৪ টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প(১ম পর্যায়)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড এসব খাল খনন করছে। এর মধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলার পুটিমারী নদী ও ভূটিয়ামারী খাল, মোড়েলগঞ্জের হোগলাবুনিয়া ও বোলইবুনিয়া খাল, শরণখোলায় সোনাতলা ও রসুলপুর খাল, রামপালের বেতবুনিয়া খাল, মেংলার আরংএর খাল, চিতলমারীর খড়িয়া খাল, মোল্লাহাটের মরা নালুয়া খাল, কচুয়ার ভৈরব (মরা বলেশ্বর) এবং ফকিরহাটের জটার খাল। সরকারের এ ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে ১২টি খালের মোট ৮২ কিলোমিটার পুনঃখনন করা হবে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে এসব খাল খনন শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্ধারিত ঠিকাদাররা।

এসব খাল কাটা শেষ হলে, এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, পানি চলাচল সচলসহ পরিবেশের ব্যাপক উন্নতি সাধন হবে। জোয়ারের পানিতে পলি পড়ে কৃষি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাবে।

সদর উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের নজিবর শেখ বলেন, ছোট বেলায় এ খালটি অনেক বড় ছিল। চর পড়ে এবং খালের পানি চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় খালটি ছোট হয়ে গিয়েছিল। এখন খালটি কাটা হচ্ছে, এতে আমাদের উপকার হবে।

একই এলাকার শাহিন, লিটন শেখ, আবু হানিফ ও মিজানুর রহমান বলেন, খালগুলো কাটা হলে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন হবে। জোয়ার-ভাটা সচল হবে। পরিবেশ সুন্দর হবে। পানি সহজলভ্য হলে কৃষি ও বিভিন্ন ফসলাদির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করেন তারা।
তবে এসএ ম্যাপ অনুযায়ী খালের অবস্থান ঠিক না থাকা, খালের জায়গায় কাঁচা-পাকা বাড়ি-ঘর, গাছ-গাছালিসহ প্রভাবশালীদের অবকাঠামো এবং পর্যাপ্ত খাস জমি না থাকায় খাল কাটতে অসুবিধা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাল খননের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো।

ফকিরহাটের জটার খাল পুনঃখননের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিন এ্যান্ড কোং এর সত্বাধিকারী বেলাল আহমেদ খান বলেন, ফকিরহাটে জটার খালের ৬ কিলোমিটার কাজ আমরা শুরু করেছি। কিন্তু আড়াই কিলোমিটার কাজ শেষ করার পর আর কাজ করতে পারছি না। কারণ আমরা এসএ ম্যাপ অণুযায়ী খালের জায়গার খাস জমি খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। অনেকেই ইমারত নির্মান ও গাছপালা লাগিয়েছেন খালের জায়গায়। খাস জমিতে খাল কাটতে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা এসএ ম্যাপ অনুযায়ী জমি নির্ধারণ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

মোল্লাহাটের মরা নালুয়া খাল পুনঃখননের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরাধোনা এন্টারপ্রাইজ এর লিটু মোল্লা বলেন, মরা নালুয়া খালের ২২ কিলোমিটার পুনঃখনন হবে। ইতোমধ্যে আমরা ৬কিলোমিটার কাজ শেষ করেছি। কিন্তু এ জায়গার মধ্যে তিনটি চলমান বাজার রয়েছে। যার মধ্যে একটি বাজার ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের খাল প্রশাসনের সহযোগিতায় পুনঃখননের চেষ্টা চলছে।

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ১২ টি খালের মধ্যে ৮টি খাল পুনঃখনন শুরু হয়েছে। ঠিকাদাররা অনেক বেশি আন্তরিক এসব খালের কাজ করতে। কিন্তু এসএ ম্যাপ অনুযায়ী খালের অবস্থান ঠিক না থাকা, খালের জমির উপর ঘর-বাড়ি নির্মান ও গাছপালা রোপন, বাজার স্থাপনসহ বিভিন্ন সমস্যার কারনে খাল খননে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আশাকরি প্রশাসনের সহায়তায় এসব সমস্যার সমাধান করে দ্রæততম সময়ের মধ্যে এসব খাল পুনঃখনন শেষ করতে পারব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়