শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ১২ জুন, ২০১৯, ০১:১৩ রাত
আপডেট : ১২ জুন, ২০১৯, ০১:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ডলারের দর কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে জানালেন ট্রাম্প

নূর মাজিদ : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পূর্ণদ্যমে বাণিজ্য সংঘাতের মাঝেই কমছে চীনা মুদ্রা ইউয়ানের দর। বিষয়টি মার্কিন সরকারকে ভাবিয়ে তুলেছে নতুন করে। কারণ, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ইউয়ানের সুযোগে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বেইজিং। এই প্রেক্ষাপটে ডলারের শক্তিশালী অবস্থান কিছুটা শিথিল করার পক্ষে ফের অবস্থান গ্রহণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

গত সোমবার তিনি বলেন, ‘চীন নিজের মুদ্রার দর ইচ্ছেমাফিক কমিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিপুল সুবিধা নিচ্ছে। ভারসাম্য আনতে আমাদেরও একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে।’

সিএনবিসি নিউজের স্কুইকবক্স অনুষ্ঠানের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প এসব কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যেভাবে সরাসরি নিজ দেশের মুদ্রানীতিকে প্রভাবিত করতে পারেন, তা রীতিমতো অন্যায়। এটা চীনের পক্ষে বাড়তি সুবিধা তৈরি করেছে।

ট্রাম্প এমন সময় এসব অভিযোগ করলেন যখন চলতি বছরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে সবচাইতে দুর্বল অবস্থানে চলে এসেছে ইউয়ান। এর পেছনে চীনের বৈদেশিক মুদ্রা মজুদের ব্যবহার স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রণোদনার পেছনে ব্যয় করার বিষয়টি রয়েছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই অভিযোগ করছে যে চীন অন্যায়ভাবে ইউয়ানের দর প্রভাবিত করে থাকে। অসমাপ্ত বাণিজ্য আলোচনার শেষ রাউন্ডে ইউয়ান ও ডলারের দর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কমানো হবে না, এমন দাবি দুই দেশই করে। যার সমাধানের স্থায়ী অঙ্গীকার শেষ পর্যন্ত কেউ না করলে বাণিজ্য আলোচনা ভেঙ্গে পড়ে।

তবে ট্রাম্প এর আগেও মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতি সুদের হার কমিয়ে ডলারের বিনিময় মূল্য কমানোর আহ্বান জানান। যা অগ্রাহ্য করে সুদের হার স্থির রাখে ফেড। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি ট্রাম্পের ক্ষোভ স্পষ্ট। চীনের মুদ্রানীতিতে শি জিনপিংয়ের নিজস্ব প্রভাব রয়েছে এমন ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প যেন ফেডের প্রতি নিজের ক্ষোভই প্রকাশ করলেন।

সোমবার ট্রাম্প এই বিষয়ে বলেন, আমাদের একটি ভারসাম্যমূলক মুদ্রানীতি থাকা দরকার ছিল, কিন্তু আমাদের ফেড ‘খুবই খুবই হতাশ’ করেছে। তবে এরপরেও আমরাই বাণিজ্যযুদ্ধে জিতছি, কারণ বানিজ্যশুল্ক যুক্তরাষ্ট্রকে একটি সুবিধাজনক অবস্থানে রেখেছে। ফেডারেল রিজার্ভের মাথায় রাখা উচিৎ, চীনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজনই অঘোষিত প্রধান রয়েছেন। আর সেটা হলেন স্বয়ং শি জিনপিং। সম্পাদনা : আসিফুজ্জামান পৃথিল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়