শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ০৫ জুন, ২০১৯, ০৬:৫০ সকাল
আপডেট : ০৫ জুন, ২০১৯, ০৬:৫০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পৌষমেলা আয়োজন বিশ্বভারতী আর করবে না

ডেস্ক রিপোর্ট : পৌষমেলা ঘিরে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা! কারণ, পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে তারা সরে যাচ্ছে বলে জানিয়ে দিল বিশ্বভারতী।

মঙ্গলবার রাতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্বভারতী জানিয়েছে, ‘আগামী ১৪২৬ সালের ৭-৯ পৌষ (ডিসেম্বর, ২০১৯) শান্তিনিকেতন পৌষ উৎসবের ঐতিহ্যপূর্ণ কৃত্যাদি (উপাসনা, পরলোকগত আশ্রমিকদের স্মরণ, মহর্ষি স্মারক বক্তৃতা, প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন, সমাবর্তন, খ্রিস্টোৎসব ইত্যাদি) যথোচিত মর্যাদায় পালিত হবে। কিন্তু পৌষমেলা পরিচালনার দায়িত্ব এখন থেকে আর বিশ্বভারতীর পক্ষে নির্বাহ করা সম্ভব হবে না।‘ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, পরিবেশ আদালত-সহ দেশের সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের পালনীয় শর্তাবলি পূরণ করে এই বিপুল আয়তনের মেলা পরিচালনা করার মতো উপযুক্ত পরিকাঠামো বিশ্বভারতীর মতো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নেই। এ রকম একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে দুঃখপ্রকাশও করেছেন কর্তৃপক্ষ।

সে ক্ষেত্রে শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষেও মেলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ট্রাস্টের ট্রাস্টি কালিকারঞ্জন চট্টোপাধ্যায় এবং সম্মানীয় সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘বিশ্বভারতীর সব পক্ষের সহযোগিতা ছাড়া শুধুমাত্র শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের পক্ষে পৌষমেলা পরিচালনা করা সম্ভব নয়।‘ ফলে অনিবার্য প্রশ্ন, মেলা পরিচালনার দায়িত্ব কে বা কারা নেবে? আদৌ এ বছর থেকে আর পৌষমেলা হবে কিনা, তার সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

২০১৫-র পৌষমেলার পরে জাতীয় পরিবেশ আদালতে প্রথম মামলা হয়। দূষণ এড়াতে বিশ্বভারতীর নানা চেষ্টা সত্ত্বেও এ বছর ফের পরিবেশ আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার বিষয়টি নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রশ্ন ওঠে, কোথাও বলা নেই যে, উৎসবটি বিশ্বভারতীই করবে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের উল্লেখ রয়েছে। অথচ পৌষমেলার পরে দূষণ নিয়ে একের পর এক মামলায় পক্ষ হয়ে যাচ্ছে বিশ্বভারতী। অথচ, পৌষমেলা থেকে যে আয় হয়, তার কোনওটাই বিশ্বভারতীর তহবিলে জমা পড়ে না। মঙ্গলবার উপাচার্যের আহ্বানে ফের বৈঠক হয়। তার পরেই ওই সিদ্ধান্ত। আনন্দবাজার। রেজাউল আহসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়