ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : কোটা সংষ্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খাঁনকে জামার কলার ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে টেনে হেঁচড়ে লাঞ্চিত করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরে জেএফসি রেস্টুরেন্টে ইফতার করতে বসলে কিছু যুবক তাকে কলার ধরে থানার নিয়ে যায়।
পুলিশ বলছে কে বা কারা রাশেদকে থানায় দিয়ে গেছে। তাকে রাশেদকে আটক করা হয়নি। নিজ বাড়িতে ঈদ করতে আসা রাশেদ নিরাপত্তার অভাববোধ করায় তিনি আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন। রাশেদ খাঁন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার মুরারিদহ গ্রামের নবাই বিশ্বাসের একমাত্র পুত্র। ঝিনাইদহ সদর থানায় অবস্থানকালে রাশেদ খাঁন মোবাইলে জানান, তিনি ঈদ উৎযাপন করতে বাড়িতে এসেছেন। সোমবার বিকালে স্ত্রী রাবেয়া আক্তারকে নিয়ে শহরে কেনাকাটা করতে আসেন।
ইফতারের সময় হলে তারা জেএফসি নামের একটি রেস্টুরেন্টে ইফতারের জন্য বসেন। এ সময় বেশ কয়েকজন যুবক এসে তার জামার কলার চেপে ধরেন। এরপর তারা শার্টের কলার চেপে ধরে ধাক্কাতে ধাক্কাতে থানার দিকে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে থানার মধ্যে ঢুকে পড়েন। এরই মধ্যে থানায় ছুটে আসেন তার বাবা নবাই বিশ্বাসসহ পরিবারের অন্যরা। প্রায় ১ ঘন্টার এই অবস্থা চলার পর রাশেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের দুইটি মাইক্রোবাসে করে থানার বাইরে বের করা হয়।
এ সময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন পুলিশও ছিল। রাশেদ খাঁন অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে যারা খারাপ ব্যবহার করেছে তারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তিনি একজন আওয়ামীলীগ নেতারও নাম বলেন। বাইরে বের হলে তারা হামলা করতে পারে এই আশংকায় তিনি পুলিশের সহযোগিতায় বের হয়ে ঢাকার পথ ধরেন। তিনি নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে না পারার বিষয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :