আক্তারুজ্জামান : আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছেন ১২ বছর ধরে। এবারের বিশ্বকাপের আগে দুটি আসরে ছিলেন দর্শক হয়ে। ক্যারিয়ার কলঙ্কিত হওয়া ‘স্পট ফিক্সিং’র জন্য নিষিদ্ধ থাকায় দলের সেরা পেসার হওয়া সত্তে¡ও ছিলেন না দলে। এবারের আসরেও যেন স্বপ্ন হাতছানি দিচ্ছিল সেই মোহাম্মদ আমিরকে। কিন্তু নানান প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত নেমেছিলেন ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের মঞ্চে। পেয়েছেন সফলতাও, যদিও তার দল জেতেনি।
নটিংহ্যামের ট্রেন্টব্রিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে রীতমত ধরাশায়ী হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করলেও এদিন উজ্জ্বল ছিলেন মোহাম্মদ আমির। ১০৫ রানের পুঁজি নিয়ে খেলতে নেমেও ক্যারিবিয়ান ৩জন ব্যাটসম্যানকে ফেরাতে পারবে এমনটা ভাবেননি সরফরাজ নিজেও। কিন্তু বল হাতে যখন নিজের ভেলকিটা কাজে লাগান তখন সেটা মোকাবেলা করা প্রতিপক্ষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
১১ রানে শাই হোপকে ফেরানোর পর রানের খাতা খোলার আগেই ব্রাভোকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান। এরপর জয় থেকে ২৯ রান দূরে থাকার সময় ৩৪ বলে ৫০ রানে ভযঙ্কর হয়ে ওঠা ক্রিস গেইলকে শাদাব খানের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান। সব মিলিয়ে দলের ৭ উইকেটে হারের দিন প্রতিপক্ষের সবগুলো উইকেটই নিজের ঝুলিতে নিয়েছেন আমির। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রানে ৩টি উইকেট নেন তিনি। স্বপ্নপূরণের পথে আরও ৮টি ম্যাচ খেলবেন গ্রæপ পর্বে। নিজের ঝুলি বেশ সমৃদ্ধ হবে এটার ভালোই জানান দিলেন তিনি।