শিরোনাম
◈ বাংলা‌দে‌শে ওয়াহাবি-সালাফি কারা,  এরা আলোচনায় কেন ◈ বিপিএলে খেল‌বে নোয়াখালী  ◈ বরখাস্ত করা হোক কোচ গৌতম গম্ভীরকে, উত্তাল ভারতীয় সোশ্যাল মিডিয়া ◈ করোনার পর এবার ভূমিকম্প আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ ◈ লটারিতে নির্ধারিত ৬৪ জেলার এসপি: সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের নতুন উদ্যোগ ◈ মোহাম্মদপুরে ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা গুরুতর আহত ◈ জাতীয় অর্থনীতি ও কৌশলগত সম্পদে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শুধু জনগণের নির্বাচিত সরকারের: তারেক রহমান ◈ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ সম্পর্কে যা বললেন আইনজীবী পান্না ◈ দক্ষিণ এশিয়ায় জলবায়ু বিপর্যয়ের সতর্কবার্তা: ৯০% বাংলাদেশি উচ্চ ঝুঁকিতে ◈ নতুন আইনে বাতিল হচ্ছে অসংখ্য দলিল, রয়েছে জেল ও অর্থদণ্ড

প্রকাশিত : ৩১ মে, ২০১৯, ০১:৪১ রাত
আপডেট : ৩১ মে, ২০১৯, ০১:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোদির শপথ অনুষ্ঠানে বিমসটেক নেতাদের আমন্ত্রণ সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে

জাবের হোসেন : প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমসটেক নেতাদের আমন্ত্রণ দক্ষিণ এশিয়ান আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্কের ভবিষ্যত নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। সাউথ এশিয়ান মনিটর

গত এপ্রিলে বিজেপি যে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল, তারই আলোকে বিমসটেক নেতাদের মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো। উল্লেখ্য, ইশতেহারে বিজেপি বলেছিল বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনকে জোরদার করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। ইশতেহারে সার্ক নিয়ে কোনো কথা বলা হয়নি।

উল্লেখ্য, ৫ বছর আগে মোদি যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তখন সার্ক নেতাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে।

ভারতের পররাষ্ট্রনীতি বিশ্লেষকেরা ও মিডিয়ায় মোদির আমলে সার্কের বিবর্ণ চিত্র তুলে ধরে বলেছে, সংস্থাটির বর্তমানে এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

ব্রুকিংস ইন্ডিয়ার কনস্টানটিনো জ্যাভিয়ার বলেন, বিমসটেক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর ভারতীয় পদক্ষেপটি কানেকটিভিটিকেন্দ্রিক সমমনা প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতামূলক আঞ্চলিকতাবাদের ওপর নয়া দিল্লির জোর দেয়ার বিষয়টিই প্রতিফলিত করে।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সাথে ট্রানজিট, দক্ষিণ এশিয়ান উপগ্রহ, মোটর যান চুক্তির উদ্যোগগুলোতে পাকিস্তানের বাধা প্রদানের কারণে ভারত দ্বিপক্ষীয়, বিবিআইএন [বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল] ও বিমসটেকের মতো অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে আঞ্চলিক একীকরণের পথে অগ্রসর হতে বাধ্য হয়েছে।

মোদি ২০১৪ সালে সার্ক নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর সময় আঞ্চলিক উদ্যোগ নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী ছিলেন। দিল্লিতে তখনকার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ উপস্থিত ছিলেন।

একই বছর মোদি দ্বিতীয়বারের মতো নেপাল সফর করেছিলেন, ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছিলেন। মোদির প্রস্তাবিত সার্ক উপগ্রহ ও সার্ক মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট নিয়ে পাকিস্তান কিছুটা আপত্তি জানিয়েছিল।

দুই বছর পর ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে ভারত নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়। তারা কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর ওপর জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে ওই সিদ্ধান্ত জানায়। পাকিস্তান ওই অভিযোগ অস্বীকার করে। আর সার্ক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়। সম্পাদনা- এইচএম জামাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়