মাসুদ আলম : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, বিআরটিএ’র নির্ধারিত ভাড়া ছাড়া অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। যদি কেউ আদায় করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। জনগণকে হয়রানি করা যাবে না। ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। বাসগুলো নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে এবং ঢাকায় প্রবেশ করতে টার্মিনালের মুখগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। যাত্রীদের লোড-অফলোড হবে টার্মিনালের ভেতরে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে না। আমরা টার্মিনালের সীমানাচিহ্ন নির্ধারণ করে দিয়েছি। কেউ ওই চিহ্নের বাইরে এসে যাত্রী উঠা-নামা ওঠালে বা নামালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
একপ্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য পুলিশকে ভয় দেখিয়ে মনোবল ভেঙে দেয়া, নাগরিকদের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা। এর মধ্য দিয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিশেষ ফায়দা নেওয়ার জন্য বসে আছে।
তিনি বলেন, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এর আগে গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালনো হয়েছিল। দুটি বিষয়ই কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। দু’টি ঘটনাতেই যেহেতু পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবুও এর যোগসূত্র রয়েছে কি-না বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। অচিরেই হামলার উদ্দেশ্য, কারা, কেন এবং কাদের টার্গেট করে করা হয়েছে বের হয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কোনোভাবেই যেন মলম পার্টি, ছিনতাইকারীরা তৎপর হতে না পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। শপিংমলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। রাজধানীজুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :