শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ১০:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ১০:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসলিমদের আস্থা অর্জনে মোদীর সমঝোতামূলক প্রস্তাব তবে…

হ্যাপি আক্তার : বড় ব্যবধানে জিতে ক্ষমতায় আসার কয়েকদিন পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনেকটা সমঝোতার সুরে বলেছেন যে, তার দলকে দেশের সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু গোষ্ঠি মুসলিমদের আস্থা অর্জন করতে হবে। মুসলিম বিরোধী বিভক্তিমূলক প্রচারণা চালিয়েছে তার দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবার ভ‚মিধস বিজয় পেয়েছে। সাওথ এশিয়া মনিটর।

নতুন নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভোট ব্যাংকের রাজনীতির কারণে, সংখ্যালঘুদের অবদমন করা হয়েছে, তাদেরকে একঘরে করে রাখা হয়েছে এবং অজানা ভয়ের মাঝে ঠেলে দেয়া হয়েছে, আবার ভোটের সময় তাদেরকে ব্যবহার করা হয়েছে।

কিন্তু সংখ্যালঘুদের সাথে মোদী যে ব্যবহার করেছেন, সেটা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ভারতের সবচেয়ে বিখ্যাত মুসলিম নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসি।

অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের (এআইএমআইএম) প্রেসিডেন্ট ওয়াইসি আল জাজিরাকে বলেন, ভোটের ফল ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মাথায়, যারা মোদীর বিজয় উদযাপন করছিলো, তারা বহু জায়গায় মুসলিমদের উপর প্রকাশ্যে হামলা করেছে। গত সপ্তাহে বিজেপির জয়ের পর থেকে অন্তত পাঁচটি এ ধরনের অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। মধ্য প্রদেশে এক নারীসহ তিনজন মুসলিমকে গরুর মাংস বহনের অপরাধে নির্দয়ভাবে পিটিয়েছে একটি গ্রুপ।

রোববার দিল্লীর শহরতলী গুরুগ্রামে একজন মুসলিমের উপর হামলা করা হয়। তার মাথার টুপি খুলে নিয়ে তাকে দিয়ে হিন্দুদের দেবতার নামে শ্লোগান দেয়ানো হয়।

ওয়াইসি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন যে, মোদি যদি মুসলিমদের ব্যাপারে ভাবতেন, তাহলে মুসলিমদের উপর হামলা করা থেকে গো রক্ষকদের নিরস্ত করতেন তিনি।

মোদির শাসনের আগের পাঁচ বছরে, ৪৪ জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে যাদের অধিকাংশই মুসলিম। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের রিপোর্টে এ তথ্য দিয়েছে।

বিজেপি সম্ভাব্য মুসলিম হুমকি সম্পর্কে হিন্দুদের মধ্যে ভয় তৈরি করেছে। বিভিন্ন বিভক্তিমূলক ইস্যু নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছে তারা। এর মধ্যে রয়েছে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাবরি মসজিদের জায়গায় মন্দির নির্মাণ. এবং মুসলিমদের বাদ দিয়ে নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের মতো বিষয়।

লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক সাইদ নাকভি বলেন যে, বিজেপির সাফল্যের পেছনে প্রধান কারণ হলো ধর্মীয় মেরুকরণ।
ভারত শাসিত কাশ্মীরের মানবাধিকার আইনজীবী পারভেজ ইমরোজ এবং আসামের আইনজীবী আমান ওয়াদুদ উভয়েরই আশঙ্কা হলো, তাদের এই দুই রাজ্য বিজেপির হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডার প্রথম শিকার হবে।

বিজেপি প্রেসিডেন্ট অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারণার সময় বাংলাদেশী অভিবাসীদের ‘উঁইপোকা’ এবং ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়েছে।

অন্যদিকে, ইমরোজের মতে, মোদির বিজয়ের কারণে কাশ্মীরিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যে, বিজেপি এখন ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করবে।

“ফিলিস্তিনে ইসরাইলিরা যে নীতি গ্রহণ করেছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত সেই নীতি গ্রহণ করেছে। দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও বেড়েছে। কাশ্মীরে যে প্রশ্নটা উঠেছে, সেটা হলো: ইসরাইলের মতো ভারতও কি কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক মতামতকে অগ্রাহ্য করবে?” সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়