শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০১৯, ১০:০৭ দুপুর
আপডেট : ২৯ মে, ২০১৯, ১০:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অব্যবস্থাপনা পুষতে ১০ বছরে সরকারের কাছ থেকে বিজেএমসি নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা

কেএম নাহিদ : অব্যবস্থাপনায় গত ১০ বছরে পাটখাতে সরকারে গচ্চা গেছে সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। এই সমস্যা সমাধানে জুটমিল কপোরেশনকে বিপুল সম্পদের বিকল্প খোঁজার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চ্যানেল ২৪

সরকারি পাটকলগুলো চলছে ৫০- ৬০ বছরের পুরোনো যন্ত্রপাতিতে। ফলে প্রায়ই নষ্ট পড়ে থাকে বেশির ভাগ তাঁত। ২২ টি কলো মধ্যে গেলো বছর বন্ধ ছিলো অর্ধেকের ও বেশি। ফলে উৎপাদন ক্ষমতা কমেছে অধের্কের বেশি। সংকট ছিলো দক্ষ শ্রমিকের। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বিশ্লেষন বলছে ১১ শত কোটি টাকার পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রি করতে কাঁচা পাট ক্রয়, শ্রমিক, বিদ্যুৎ, জ্বালানি খরচ হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

অর্থাৎ ভতুর্কি গেছে পৌনে ৪ শত কোটি টাকা। অথচ কারখানা বন্ধ থাকলে নির্ধারিত খরচের বাইরে কেবল গুনতে হত ২৭ হাজার স্থায়ী শ্রমিকের বেতন ভাতা। যাতে ভতুর্তি কম লাগতো অন্তত পৌনে ২ শত কোটি টাকা। তাহলে কারখানা চালানো যুক্তিকতা কোথায়। পাটকল চালানোর ক্ষেত্রে বাজার চাহিদার কথা মাথায় রাখেনি বিজেএমসি। গেলো তিন বছেরে পরিসংখ্যান বলছে উপাদিত পণ্যের বড়ো একটা অংশ বিক্রি করা যায়নি চাহিদা না থাকায়। ফলে অবিক্রিত পণ্যের মজুদ বেড়েছে ৩ গুন। যার বর্তমান বাজার মূল্য পৌনে ৭শত কোটি টাকা। আর এসব অব্যবস্থাপনা পুষতে গিয়ে গেলো ১০ বছরে সরকারের কাছ থেকে বিজেএমসি নিয়েছে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা। অথচ তাদের অধিনে গচ্ছিত থাকা প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার স্থায়ীসম্পদ ঠিক মতে কাজে লাগানো গেলে সংকট কমতে পারত।

অর্থনীতিবিদ ও সিপিডি’র পরিচালক, ড খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, পাটকল বন্ধ বা খোলা রাখার পর্যায়ে নেই। তারা এখন গুটিয়ে যাওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। বিজেএমসি এখন চলছে যে পরিমানে ঋন দিয়ে তা তার ৫৭ শতাংশ জমি ব্যবহার করে করলেই সম্ভব। বাকি ৪৩ শতাংশ জমি এখনই আর ব্যবহার করা দরকার নেই। তাদের জমিতে ইকোনোমিক জোন করা যেতে পারে

বিজেএসসি চেয়ারম্যান বলেন, বাস্তবতা হলো, পদ্ধতিগতো ভাবে আমাদের এখন কারেকশনে চলে আসতে হবে। যদি কাজ না থাকে বসে বসে বেতন নেয়ার সিষ্টেম চালু থাকে তবে শ্রমিকদের মধ্যে কর্মক্ষমতা কমে যাবে। চাহিদা অনুযায়ী যদি উৎপাদন করা যেতে তাহলে গুদামে অবিক্রিত ৬শ/ ৭ শত টাকার পণ্য পড়ে থাকতো না। কায়কোবাদ মিলন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়