ডেস্ক রিপোর্ট : ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের ইন্দরা গ্রামের আরিফুর রহমান আরিফ থাকেন সৌদি আরব। বিয়ের পর স্ত্রীকে নিজের বাড়ি তুলে আবারও চলে যান প্রবাসে। ছেলে যেখানে অর্থ উপার্জনে ব্যস্ত, বাবা সেখানে পুত্রবধূকে দিয়ে আসছেন কুপ্রস্তাব। শ্বশুরের এমন প্রস্তাবে রাজি হননি ছেলের বৌ। শেষ পর্যন্ত ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হন তিনি।
ঘটনা শুনে দেশে ফিরে আসেন আরিফ। ছেলে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকি দেন আমির। আইনের আশ্রয় নেওয়ার পর আমিনুর রহমান ওরফে আমির আলীকে আজ মঙ্গলবার আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছেলে আরিফুর রহমান আরিফ সৌদি আরবে থাকাকালীন তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আমির আলী। কিছুদিন আগে রাতে ছেলের বৌকে আম কেটে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পরে ঘরে ঢুকে পেছন থেকে ছেলের বৌকে জাপটে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি।
কোনো রকমে নিজেকে ওই অবস্থা থেকে মুক্ত করেন আরিফের স্ত্রী। পরে বিষয়টি মুঠোফোনের মাধ্যমে স্বামীকে জানান। সব শুনে দেশে ফিরে আসেন আরিফ। এরপর এ অপকর্মের প্রতিবাদ করেন তিনি।
গত সপ্তাহে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে ছেলের বউ ও ছেলেকে তাড়িয়ে দেন আমির আলী। পরে তারা আশ্রয় নেন বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফের চাচা মৃত আবুল হোসেনের বাড়িতে।
পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ গ্রাম্য মাতাব্বরদের কাছে আমির আলীর বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হন তারা। গত রোববার সকালে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসেন গ্রামবাসী। সেখানে আমির আলীকে ডাকা হলেও তিনি হাজির হননি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহর আলী জানান, আমির আলী প্রভাবশালী। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দিয়েছিল তার পুত্রবধূ। সালিশও ডাকা হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজির হননি। এখন পুত্রবধূ আইনের আশ্রয় নিয়েছে।
আরিফ জানান, তিনি বিদেশ থাকাকালীন তার বাবা তার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তিনি দেশে ফিরে এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাদের হত্যার হুমকি দেন আমির আলী। পরে তারা আইনের আশ্রয় নেন।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমির আলীকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উৎসঃ dainikamadershomoy
আপনার মতামত লিখুন :