শিমুল মাহমুদঃ রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মানে বিএনপির ইফতার মাহফিলে আসেননি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইস্কাটন লেডিস ক্লাবে ৩০ টাকা বরাদ্দ রেখে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।
ইফাতারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা:জাফরুল্লাহ চৌধুরী,নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবু সাঈদ, জগলুল হায়দার আফ্রিক,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, ঐক্যফ্রন্ট নেতা হাফসা আমিন উপস্থিত ছিলেন। ড. কামাল না আসার কারণ জানতে চাইলে সুব্রত চৌধুরী জানান, ড. কামাল হোসেন অসুস্থ। তার পায়ে ব্যাথা সকাল থেকে কিছুটা বেড়েছে তাই আসেননি।
তিনি আরো বলেন, ড. কামাল না আসার পেছনে বিশেষ কোনো কারণ নেই। তার পায়ের ব্যাথা ছাড়াও তিনি শারীরিক ভাবে খুব দুর্বল।
কারাবিধি অনুযায়ী একজন বন্দির ইফতারে সরকারের বরাদ্দ ৩০ টাকা। তাই এর সাথে মিল রেখে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ দলের সকল কারাবন্দি, নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে ইফতারে ৩০ টাকা বরাদ্দ রাখে বিএনপি।
ইফতারে ছিলো, পেঁয়াজু, বেগুনি, খেজুর, মুড়ি, জিলাপি, ছোলা ও এক বোতল মিনারেল ওয়াটার। ইফতারের পূর্বে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও মুক্তি জন্য মোনাজাত করেন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা নেসারুল হক।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে অত্যন্ত ভারক্রান্ত মন নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নিতে হয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা যিনি সারা জীবন গণতন্ত্রের করেছেন সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলায় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। আজকে বন্দি অবস্থায় তিনি শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) হাস্পাতালের ছোট একটি কক্ষে ইফতার সামনে নিয়ে অপেক্ষ করছেন। তার ইফতারের জন্য সরকারে বরাদ্দ মাত্র ৩০ টাকা। সে জন্য আমরা আজকের ইফতারে ৩০ টাকা বরাদ্দ করেছি। তাই সকল অতিথিবৃন্দ আপনাদের কষ্ট হলের স্বীকার করে নিবেন দেশনেত্রীর সম্মানের জন্য।
তিনি বলেন, আজকের এই ইফতার আমরা নিবেদন করেতে চাই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, সারা দেশের নেতাকর্মী যারা কারাগারে আবদ্ধ আছেন,নিখোঁজ পরিবার এবং আমাদের সকল নির্যাতিত নেতৃবৃন্দের জন্য।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন,বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ,ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার,ড.আব্দুল মঈন খান,আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান,আলতাব হোসেন চৌধুরী,বরকত উল্লাহ বুলু,আব্দুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান,শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান,মিজানুর রহমান মিনু, হাবিবুর রহমান হাবিব,আব্দুল হাই শিকদার, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খান, নাজমুল হক নান্নু,প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী,নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
২৩ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান,নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম,হামীদুর রহমান,প্রচার সম্পাদক তাসলিম আলম,ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দীন,দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল মঞ্জুরুল ইসলাম ভূইয়া,কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল(অব:)সৈয়দ মোহাম্মাদ ইব্রাহিম বীর প্রতিক,মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান,জাতীয় পার্টি(জাফর)মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার,ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি সাইফ উদ্দীন মনির,খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা ইছাহাক,লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা:মোস্তাফিজুর রহমান ইরান,জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান,জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা,মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল প্রমুখ।