রাইসা মনোয়ার: পোল্ট্রি খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে ৩৫টি মিশ্রন বাতিল করেছে সরকার। যেগুলো ওষুধ হিসেবে ব্যবহারের পাশাপাশি পোল্ট্রির খাবারেও ব্যবহার করা হতো। যার মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ ওলাকুইনডক্সও। (চ্যানেল ২৪)
এন্টিবায়োটিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধী। এই ওষুধের যথেচ্ছা ব্যবহার বিতর্কিত করছে সস্তা আমিষের উৎস পোল্ট্রিখাতকে। বিভিন্ন গবেষণার তথ্য থেকে জানা যায়, শুধু কোলিস্টিন, ফসফোমাইসিন, সিপ্রোফ্লোক্সাসিন, এজিথ্রোমাইসিন, এমোক্সাসিলিনের ব্যবহারই নয়, ওলাকুইনডক্সের মতো আন্তর্জাতিকভাবে নিষিদ্ধ এন্টিবায়োটিকও দেদারছে ব্যবহার হচ্ছে দেশের পোল্ট্রিখাতে। যা মানুষের দেহে কমাচ্ছে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
বাংলাদেশ পোল্ট্রিশিল্প সেন্ট্রাল কাউন্সিল বলছে, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দ্রæত মুরগি বড় করতে ছোট ছোট খামারীকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে প্রলুব্ধ করছে। যার প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরও জানায়, একাধিক এন্টিবায়োটিক একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করছে খামারীরা। এতে খরচ যেমন বাড়ছে, তেমনি কমছে মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। এমন বাস্তবতায় পোল্ট্রিখাতে এন্টিবায়োটিকের ৩৫টি মিশ্রনকে নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
বর্তমানে দেশের পোল্ট্রিখাতে বিনিয়োগ প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :