মুসবা তিন্নি : নাটোরের চিনিকলে ৮ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া পাওনা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। ঈদের আগে তাদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য রোজার শুরুতেই খোলা বাজারে চিনি বিক্রির নির্দেশনা দেয় চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। তবে মেলেনি আশানুরূপ সাড়া। সময় সংবাদ
তাই ঈদে বেতন-ভাতা পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। এদিকে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলছেন, বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়া হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির পর এখনো বেতন পাননি নাটোর চিনিকলে কর্মরত ৮শ' ৩৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। এতে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। এ অবস্থায় রোজার শুরুতেই নাটোর চিনিকলের ২ হাজার মেট্রিক টন চিনি খোলা বাজারে বিক্রির নির্দেশ দেয় চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন। তবে ২৫শে মে পর্যন্ত তারা চিনি বিক্রি করতে পেরেছে মাত্র ৪৫ মেট্রিক টন। এতে আগামী ঈদে বেতন ভাতা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
তারা বলেন, তিন মাস ধরে বেতন হচ্ছে না। সামনে ঈদ, কীভাবে করব? এভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব? ঈদের আগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বোনাস পরিশোধের জন্য চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানালেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি নাটোর চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ এফ এম জিয়াউল ফারুক। চলতি বছর নাটোর চিনিকলে ১ লাখ ২১ হাজার ৪শ' ১৮ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করা হয়। এতে চিনি উৎপাদন হয় ৬ হাজার ৬শ' ৮৯ মেট্রিক টন। বর্তমানে চিনিকলে মজুদ রয়েছে ৩ হাজার ৭শ' মেট্রিক টন চিনি। সম্পাদনা : কাজী নুসরাত
আপনার মতামত লিখুন :