রাশিদ রিয়াজ : ভারতে রপ্তানিকারকদের জন্য কর ফেরৎ প্রক্রিয়া সরল করার পাশাপাশি গোটা ব্যবস্থায় বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি গতি আনতে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এই পরিকল্পনা করেছে। এখন কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কর আধিকারিকদের নিয়ে দ্বৈত ফেরত অনুমোদন কর্তৃপক্ষ রয়েছে।
তার বদলে আগামী আগস্টের মধ্যে চালু হচ্ছে প্রস্তাবিত নয়া একমাত্র কর্তৃপক্ষ। কেন্দ্রীয় রাজস্ব দপ্তর প্রস্তাবিত যে নতুন ব্যবস্থা তৈরি করেছে, তাতে দাবি অনুমোদন হয়ে যাওয়ার পরই করদাতা যে আধিকারিকের এক্তিয়ারভুক্ত, তার থেকে পূর্ণ অর্থ ফেরত পাবেন। আর কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি একে অপরের প্রদেয় অর্থ থেকে তা বাদ দেবে। বর্তমানে কোনও করদাতা ফেরতের দাবি জমা দেওয়ার পরে ওই আধিকারিক ৫০ শতাংশ দাবি অনুমোদন করেন। বাকি ৫০ শতাংশ পুনরায় খতিয়ে দেখার পর সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কর আধিকারিক অনুমোদন করেন। এর ফলে আবেদন জমা দেওয়ার পর ফেরত পেতে বহু বিলম্ব হয়, যার জেরে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। তীব্র নগদ সঙ্কটেও পড়েন অনেকে। কর কর্মকর্তারা কোনো আধিকারিকের কাছে কর ফেরতের দাবি পরীক্ষা করে সিজিএসটি ও এসজিএসটি, দুয়েরই অংশ সম্পূর্ণ কর ফেরত হিসাবে অনুমোদন করবেন।
ভারতে বছরে দেড় কোটি টাকার নীচে যে সমস্ত ব্যবসায়ীদের বার্ষিক টার্নওভার, তাদের ৯০ শতাংশের জিএসটি হিসাব করেন রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা, বাকি ১০ শতাংশ কেন্দ্রীয় অফিসারদের আওতায়। আর বছরে দেড় কোটি কোটি টাকার বেশি টার্নওভারের ব্যবসায়ী বা সংস্থার ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ৫০:৫০ হারে জিএসটি হিসাব করে। জিএসটি ফেরতে কর্তৃপক্ষ গঠনের ব্যাপারে এএমআরজি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস পার্টনার রজত মোহন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয়, গণতান্ত্রিক অর্থনীতিতে একক-জানালার কর ফেরত ব্যবস্থা ব্যবসাবান্ধবকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’