শিরোনাম
◈ আকাশে রজবের চাঁদ দেখা গেল মধ্যপ্রাচ্যে, জানা গেল রোজার সম্ভাব্য তারিখ ◈ গ্রিসের ক্রিট উপকূলে মাছ ধরার নৌকা থেকে বাংলাদেশিসহ ৫ শতাধিক আশ্রয়প্রার্থী উদ্ধার ◈ প্রবাসীদের কাছে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো শুরু, যে প্রক্রিয়ায় ভোট দেবেন তারা ◈ বিশ্ব গণমাধ্যমে শহিদ ওসমান হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর ◈ শহীদ হাদির কবর দেখতে মানুষের ভিড়, রাতেও থাকবে পুলিশি প্রহরা ◈ হা‌দির মৃত‌্যু‌তে গ‌র্জে উ‌ঠে‌ছে বাংলা‌দেশ, যৌথবাহিনীর অভিযান আর গানম্যানে কি আইন-শৃঙ্খলা ফিরবে? ◈ প‌শ্চিমব‌ঙ্গে মোদীকে গোব্যাক ব‌লে, বাংলা‌দে‌শি অনুপ্রবেশকারীদের বলে না- অভিযোগ ভারতের প্রধানমন্ত্রীর  ◈ মৃত্যুর কিছুদিন আগে সাক্ষাৎকারে যেসব কথা বলেছিলেন ওসমান হাদি (ভিডিও) ◈ তফসিলের ২ বিষয়ে সংশোধনী এনে ইসির প্রজ্ঞাপন ◈ হাদি হত্যার বিচার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, আজকের মতো শাহবাগ কর্মসূচি স্থগিত (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল
আপডেট : ২৭ মে, ২০১৯, ০৪:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গ্রামীন মানুষের সঙ্গে দূর্বল যোগাযোগের কারণেই আমেথির দূর্গ হারিয়েছেন রাহুল

আসিফুজ্জামান পৃথিল : কংগ্রেসের দূর্গ এবং নেহরু-গান্ধী পরিবারের পারিবারিক আসন বলে বিবেচিত উত্তর প্রদেশের আমেথি আসনে পরাজিত হয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই আসনে রাহুল পরাজিত হয়েছেন মূলত শক্তিশালী সাংগঠনিক নেটওয়ার্ক এবং প্রত্যন্ত গ্রামীন জনপদে বসবাসকারী মানুষদের সঙ্গে দূর্বল যোগাযোগের কারণে। মূলত গ্রামীন মানুষেরাই অভ্যঅস বদলে কংগ্রেসের হাত প্রতিকের বদলে বিজেপি’র পদ্ম প্রতীকে নিজেদের রায় দিয়েছেন। ইয়ন নিউজ, টাইমস অব ইন্ডিয়া।

৫৫ হাজার ১০২ ভোটের বেশ বড় ব্যবধানে রাহুলকে হারিয়েছেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ স্মৃতি ইরানি। ২০০৪ সাল থেকেই এই আসনে নির্বঅচিত হয়ে আসছিলেন রাহুল। চতুর্থ লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে প্রথম ভোট হবার পর থেকে এই আসনে বরাবরই জিতেছে কংগ্রেস। শুধুমাত্র ১৯৯৮-৯৯ সালে মাত্র কয়েকমাস ক্ষমত্য় ছিলেন বিজেপির এক এমপি। এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন রাহুলের বাবা রাজিব গান্ধী, মা সোনিয়া গান্ধী, চাচা সঞ্জয় গান্ধী। তাই এই আসনটি কংগ্রেস হারাবে তা কেউ কল্পনাতেও ভাবেনি। রাহুল কেনো ভোট পাননি, সে হিসেবে আমেথির এক দোকান মালিক সুশিলা শুক্লা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমার পরিবারে আমিই একমাত্র ব্যক্তি যে কংগ্রেসকে ভোট রদিয়েছে। রাহুল এই এলাকার কোনো উন্নতি করতে পারেননি। এই এলাকায় তার বাবা এমপি হিসেবে যে সুনাম অর্জন করেছিলেন, রাহুল তা ধসিয়ে দিয়েছে। সে এখানে কোন কাজই করেনি। এখানে সামান্য কাজ করলেই সে অবশ্যই জিততো। রাহুলের একটি শিক্ষা দরকার ছিলো। আশা করি তা সে পেয়েছে। জনগনের সঙ্গে এতো দূরত্ব রেখে এমপি হওয়া যায়না।’

রাহুল কখনই এই আসনে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হনননি। তাই এই এলাকার বিষয়টি খুব হালকাভাবে নিয়েছেন তিনি বলে মনে করছেন আমেথির বাসিন্দারা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি প্রথমবারের মতো মত্যিকারের চ্যঅলেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন স্মৃতি ইরানির দ্বারা। তবুও রাহুল বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। সেবার হারলেও স্মৃতি বসে থাকেননি। মন্ত্রী হয়ে এই এলাকার উন্নয়নের বিষয়টিকে আগে দেখেছেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরেছেন। মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। এর ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়