শেখ নাঈমা জাবীন : দিল্লির মসনদ জয় নিয়ে প্রথম থেকেই আশাবাদী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে লক্ষ্য ছিল বাংলায় জয়ের হার বজায় রাখা। লক্ষ্যভেদ করতে দলের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের কাউন্সিলরদের। বলা হয়েছিল, যে কাউন্সিলর ‘লিড’ দিতে পারবেন না আগামী পৌরভোটে তাকে টিকিট দেওয়া হবে না। কিন্তু ভোটের ফলাফল হাতে পাওয়ার পরেও যা হিসেব প্রকাশ্যে এসেছে তাতে মাথায় হাত! রাজ্য তো দূরঅস্ত, কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণের প্রায় ৫০ জন কাউন্সিলরই পিছিয়ে রয়েছেন নিজেদের ওয়ার্ডে। এমনকি খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর এলাকাতেও ইঁদুর দৌঁড়ে বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনওক্রমে ভবানীপুর দখলে রেখেছে তৃণমূল। সংবাদ প্রতিদিন
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যেখানে, সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেও বিজেপির কাছে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। তাতে হতবাক ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রতন মালাকার। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আটটি ওয়ার্ডের মধ্যে ছ’টিতেই (৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩ এবং ৭৪) এগিয়ে বিজেপি। এমনকী তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর ওয়ার্ডেও এগিয়ে বিজেপি। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর শেষ পর্যন্ত তৃণমূলের দখলেই রয়েছে। যদিও সম্ভব হয়েছে ফিরহাদের ওয়ার্ড ৮২ নম্বর (লিড ১১০০) এবং ৮২ নম্বর (লিড ১৭,০০০) ওয়ার্ডের সৌজন্যে।
ভোটের ফল দেখে অবাক মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। তিনি বলেন ‘গত জানুয়ারির পৌরভোটে আমি জিতেছিলাম ১৪ হাজার ভোটে। সেটা কমে এ বার হয়েছে ১১০০!’ তাঁর অভিযোগ, এই ভোট হয়েছে ধর্মীয় মেরুকরণের সুড়সুড়ি দিয়ে। বিজেপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এই প্রবণতায় বাংলায় বেশি দিন টেকা যাবে না। তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি রাসবিহারীতেও জোর ধাক্কা দিয়েছে বিজেপি। সেখানে পিছিয়ে পড়েছেন ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মেয়র পারিষদ রতন দে। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের বেহালা এলাকায় পিছিয়ে পড়েছেন মেয়র পারিষদ, ১১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারক সিং। সম্পাদনা : কায়কোবাদ মিলন