আশরাফুল নয়ন : কৃষকরা জানিয়েছেন, ইরি-বোরো ধান লাগানো শুরু ধান চাষের অনুক‚লে থাকলেও পরবর্তীতে ধান বড় হওয়ার সঙ্গে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, নেকব্লাস্ট রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান বিঘা প্রতি উৎপাদন কম হয়েছে আবার খরচও বৃদ্ধি হয়েছে।
নওগাঁর বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা গেছে, মোটা জাতের (হাইব্রিট) ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা থেকে ৫শ ৩০ টাকায়। চিকন জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ টাকায়। বিক্রির দাম হিসেবে প্রতি বিঘা প্রায় ৪ হাজার টাকা কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
মহাদেবপুর উপজেলার স্বরসতীপুর গ্রামের কৃষক লোকমান আলী, জলিল, রবিন,আবুল কাশেমসহ অসংখ্য কৃষক। তারা বলেন, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনলে তারা লাভবান হবেন। বর্তমান ধানের বাজার দরে প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষিদের।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আ. জা. মু, আহসান শহীদ সরকার জানান, জেলায় ইরি-বোরো ধানের ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেবে নওগাঁয় চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্র অনুসারে ২০১২ সালে জেলায় ৫ লাখ কৃষি কার্ডধারি কৃষক রয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা না থাকায় এরপর দীর্ঘ ৭ বছরেও আরো কোনো কৃষি কার্ডের আওতায় আনা হয়নি। অনেক কৃষক আছেন যাদের এই কৃষি কার্ড নেই। জেলায় মাত্র ৫ হাজার ৬শ ৩২ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়ায় অধিকাংশ কার্ডধারীরাই সরকারের গুদামে ধান দিতে পাবেন না।
নওগাঁ খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি. এম. ফারুক হোসেন পাটোয়ারি জানান, জেলায় ৬৭ হাজার ৪শ ৮৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৫ হাজার ৬শ ৩২ মেট্রিকটন ধান ও ৪ হাজার ৬শ ১৬ মেট্রিক টন আতব চালের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একজন কৃষক প্রতি কার্ডে সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন ধান সরকারি গুদামের দিতে পারবেন। সকল কৃষকদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩ বস্তা থেকে ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান