শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিঘায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুণছেন নঁওগার ধান চাষিরা

আশরাফুল নয়ন : কৃষকরা জানিয়েছেন, ইরি-বোরো ধান লাগানো শুরু ধান চাষের অনুক‚লে থাকলেও পরবর্তীতে ধান বড় হওয়ার সঙ্গে ঝড়-শিলাবৃষ্টি, নেকব্লাস্ট রোগ ও কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। এ কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর ধান বিঘা প্রতি উৎপাদন কম হয়েছে আবার খরচও বৃদ্ধি হয়েছে।

নওগাঁর বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে জানা গেছে, মোটা জাতের (হাইব্রিট) ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৪শ টাকা থেকে ৫শ ৩০ টাকায়। চিকন জাতের ধান বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫শ টাকা থেকে সাড়ে ৬শ টাকায়। বিক্রির দাম হিসেবে প্রতি বিঘা প্রায় ৪ হাজার টাকা কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।

মহাদেবপুর উপজেলার স্বরসতীপুর গ্রামের কৃষক লোকমান আলী, জলিল, রবিন,আবুল কাশেমসহ অসংখ্য কৃষক। তারা বলেন, সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনলে তারা লাভবান হবেন। বর্তমান ধানের বাজার দরে প্রতি বিঘায় প্রায় ৪ হাজার টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে চাষিদের।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আ. জা. মু, আহসান শহীদ সরকার জানান, জেলায় ইরি-বোরো ধানের ব্যাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ৪ দশমিক ২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসেবে নওগাঁয় চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে প্রায় ১১ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র অনুসারে ২০১২ সালে জেলায় ৫ লাখ কৃষি কার্ডধারি কৃষক রয়েছেন। সরকারি নির্দেশনা না থাকায় এরপর দীর্ঘ ৭ বছরেও আরো কোনো কৃষি কার্ডের আওতায় আনা হয়নি। অনেক কৃষক আছেন যাদের এই কৃষি কার্ড নেই। জেলায় মাত্র ৫ হাজার ৬শ ৩২ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহের অনুমোদন পাওয়ায় অধিকাংশ কার্ডধারীরাই সরকারের গুদামে ধান দিতে পাবেন না।

নওগাঁ খাদ্য নিয়ন্ত্রক জি. এম. ফারুক হোসেন পাটোয়ারি জানান, জেলায় ৬৭ হাজার ৪শ ৮৯ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৫ হাজার ৬শ ৩২ মেট্রিকটন ধান ও ৪ হাজার ৬শ ১৬ মেট্রিক টন আতব চালের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। একজন কৃষক প্রতি কার্ডে সর্বোচ্চ ৩ মেট্রিক টন ধান সরকারি গুদামের দিতে পারবেন। সকল কৃষকদের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৩ বস্তা থেকে ৩ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়