শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি: প্রধান উপদেষ্টার কাছে রিপোর্ট পেশ ◈ বিএনপি প্রার্থীকে গুলির ঘটনায় নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি মির্জা ফখরুলের ◈ প্রাথমিকে ১০ হাজার ২১৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, আবেদন শুরু ৮ নভেম্বর ◈ মনোনয়ন বঞ্চিতদের মূল্যায়ন করার আশ্বাস বিএনপির ◈ গণসংযোগের সময় চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ গুলিবিদ্ধ ◈ বিশ্বের প্রথম মুসলিম দেশ হিসেবে তামাক নিষিদ্ধে যে ইতিহাস গড়ল মালদ্বীপ ◈ ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগা‌নিস্তা‌নের কা‌ছে ১০২ রা‌নে হে‌রে গে‌লো বাংলা‌দে‌শের যুবারা ◈ হন্ডুরাস‌কে ৭ গোলে হারা‌লো ব্রাজিল ◈ তিন দফা দাবিতে ৮ নভেম্বর আন্দোলনে নামছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা ◈ দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছেই না: একদিনে ১০ জনের মৃত্যু, ১০৬৯ জন ভর্তি

প্রকাশিত : ২৫ মে, ২০১৯, ০৩:২৯ রাত
আপডেট : ২৫ মে, ২০১৯, ০৩:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অসহনীয় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট হবিগঞ্জবাসী

স্বপ্না চক্রবর্তী ও আশরাফুল ইসলাম কহিনুর : দেশের পূর্বাঞ্চল বলে খ্যাত সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায় অসহনীয় বিদ্যুত বিভ্রাটে অতিষ্ট জনজীবন। এই জেলা থেকেই প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রীডে সরবরাহ হলেও খোদ এখানে প্রতিদিন বাড়ছে বিদ্যুতের জন্য জনদুর্ভোগ। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাফিলতি ও উদাসিনতায় লাইনের সামান্য ত্রুটি সারাতেই লেগে যাচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্ঠা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।

জানা যায়, শাহজীবাজার থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার লম্বা সোর্স লাইনের মাধ্যমে হবিগঞ্জ শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। সামান্য বৃষ্টি বা ঝড় তুফান হলেই দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ এ লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় পুরো শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ। ভোগান্তিতে পড়েন শহরবাসী।

ঝড়-বৃষ্টিতে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে গিয়ে বিদ্যুত সরবরাহে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটলেও এরকম দুরাবস্থা হওয়ার কথা নয় বলে উল্লেখ করে তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, সাব-স্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুত জেলাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কর হয়। দীর্ঘদিনের পুরোনো ট্রান্সমিটারগুলো ঝড় বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ই। তাই বলে একটা শহরে এতটা বিদ্যুতের সমস্যা হওয়ার কথা না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। যত দ্রুত সম্ভব এই সমস্যা সমাধান করা হবে।

তবে হবিগঞ্জবাসীর অভিযোগ, বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ ও তথ্য কেন্দ্রের মোবাইল ফোনটি সারাক্ষণই ব্যস্ত রাখা হয় ইচ্ছে করে। ফলে কোন তথ্য জানারও উপায় থাকে না। এ রকম নানা অব্যবস্থাপনার কারণে রমজান মাসেও চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।

এদিকে ২০১৪ সালে সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রজেক্টের এর আওতায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বিকল্প আরেকটি সোর্স লাইনসহ শহরের সকল জরাজীর্ণ তার ও খুটি পরিবর্তনের কাজ শুরু হলেও প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ না হওয়ায় কোন সুবিধাই পায়নি শহরবাসী। শহরের ২২ হাজার গ্রাহকের বিপরীতে যেখানে ফিডার সংখ্যা হওয়ার কথা ১৫ থেকে ২০টি, সেখানে ফিডার আছে মাত্র ৫টি। ফলে একেকটি ফিডারের আওতাধীন এলাকার যে কোন স্থানে ত্রুটি দেখা দিলেই ওই ফিডারের সকল গ্রাহকই বিদ্যুত থেকে বঞ্চিত হন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, এখানো বিদ্যুতের কোন লোডশেডিং নেই। নেই বিদ্যুতের ঘাততিও। শুধুমাত্র লাইনের ত্রুটির কারণে মাঝে-মধ্যে সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়। তবে রমজানের পর আর এই সমস্যা থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়