শিরোনাম
◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি ◈ গণপ্রতিরোধের মুখে শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন: ভোলায় নাহিদ ইসলাম  ◈ গৌরনদীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বদলি আদেশ ঘিরে অবরোধ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৯, ০৩:১৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শর্টসার্কিটসহ ৩ কারণে ঘটছে ৭২ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড

সাজিয়া আক্তার : সম্প্রতি দেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেড়ে চলেছে আশঙ্কাজনক হারে। বাড়ছে জীবনহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও। বেশিরভাগ অগ্নিকাণ্ড ঘটছে বৈদ্যুতিক ত্রুটির কারণে। পূর্বে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ডের তথ্য বিশ্লেষণে জানা গেছে, দেশের অধিকাংশ অগ্নিকাণ্ডের পেছনে মাত্র ৩টি কারণ দায়ি। চ্যানেল আই

ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে সেই ৩টি কারণ হলো; বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট, গ্যাসের চুলা ও জ্বলন্ত সিগারেট। এসব কারণে সারাদেশে ৭১ দশমিক ৬১ শতাংশ অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৭ দশমিক ২০ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে।

দ্বিতীয় প্রধান কারণ হিসেবে ২০ দশমিক ১৬ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে গ্যাসের চুলা থেকে। তৃতীয় প্রধান কারণ হিসেবে জ্বলন্ত সিগারেটের টুকরা থেকে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে ১৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। বাকী ২৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে অন্যান্য কারণে।

গত চার বছরে এই তিন কারণে মোট ৫১ হাজার ৯০২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় পৌনে ১২শ’কোটি টাকা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গেল চার বছরে ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সারা দেশে মোট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ৭২ হাজার ৯৩টি। এতে নিহত ২শ’ ৯৫ জন। আহত হয়েছে ১ হাজার ৪৮২ জন। চার বছরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক পৌনে দুই হাজার কোটি টাকারও বেশি।

সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আবাসিক গৃহে। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, চার বছরে সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ৩৬৭টি আবাসিক গৃহে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশের আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৮১৯ কোটি ৮০ লক্ষ ১৯ হাজার ৩৪৪টাকা।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বস্তিতে অগ্নি দুর্ঘটনায়। বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১০২ কোটি ২৫ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪০০টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। চার বছরে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে ৫জন এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৭জন।

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের দিক দিয়ে আবাসিক গৃহ ও বস্তির পরে তৃতীয় অবস্থানে আছে দেশের গার্মেন্টস শিল্প। ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গেল চার বছরে সারাদেশে মোট ৯শ’ ১৪টি গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে দেশের প্রায় ৭৬ কোটি ২৩ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৭ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে গার্মেন্টস কারখানা ও বস্তিতে আগুনের ঘটনায়। গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে চার বছরে নিহত হয়েছে ৭ জন এবং আহত হয়েছে অন্তত ৪৮ জন। এক্ষেত্রে বস্তিতে নিহত হয়েছে ৫জন এবং আহত হয়েছে অন্তত ১৭জন।

চার বছরে সারাদেশে শিল্প কারখানায় মোট ৪ হাজার ৩শ’ ২৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ বছর বাংলাদেশের পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৭০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে। রাজধানী বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছে অনন্ত ১৯ জন। আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।

সেই হিসেবে ২০১৯ সালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অন্যান্য সকল বছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি গিয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়