শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০১৯, ১০:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৪ মে, ২০১৯, ১০:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোদির চোখে বিরোধীদের হারের ৩ কারণ

ডেস্ক রিপোর্ট : লোকসভা ভোটের আগে ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধীদের মরিয়া প্রচার আভাস দিচ্ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। সরকার গড়তে সব বিরোধী দল মিলে জোট

গঠনের তোড়জোড়ও চলছিল। এমনকি ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেস বলছিল, জোটের প্রয়োজনে তারা প্রধানমন্ত্রী পদ নেবে না। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশ হতে দেখা গেল ২০১৪ সালের চেয়েও বড় জয় নিয়ে ক্ষমতায় থাকছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। বিরোধীরা কেন জয়লাভে ব্যর্থ হলোÑ ভোটের ফল ঘোষণার দিনই তার কারণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার মতে, তিন কারণে বিরোধীরা ধরাশায়ী হয়েছে। গতকাল টুইট করে তিনি কারণগুলো তুলে ধরেন।
মোদির দাবি, নির্বাচনে বিরোধীদের কাছে যেসব ইস্যু থাকে, এবার তা ছিল না। আর এটিই বিজেপি জোটের জয়ের কারণ বলে মনে করেন তিনি। তার প্রথম যুক্তি, ‘অতীতে ভোটের আগে দাবি উঠত, সব সেক্যুলার এক হয়ে যাও। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ আসতে আসতে সেটা বলাই ছেড়ে দিয়েছে। নির্বাচনে একটা দলও সেক্যুলারিজমের মুখোশ পরে দেশকে বিপথে চালিত করেনি।’ দ্বিতীয় যুক্তি, ‘এবারের নির্বাচনে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যু ছিল না। একজনও বিরোধী নেতানেত্রীর ভাষণে মূল্যবৃদ্ধি জায়গা পায়নি।’ তৃতীয়ত, দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন উপহার দিয়েছেন বলেই সাফল্য এসেছে বলে জানান মোদি।
বিজেপির বিজয়ের ১০ কারণ

বিজেপির প্রবল উত্থানের ১০টি কারণ খুঁজে বের করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সেগুলো হলোÑ
বিরোধীদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী না থাকা : বিজেপি নির্বাচনী প্রচারে লড়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সামনে রেখে। এনডিএ জোট জিতলে তিনিই ফের প্রধানমন্ত্রী হবেনÑ এ নিয়ে কোনো সংশয় তারা রাখেনি। বিপরীতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট বা অন্য বিরোধী দলগুলো বলতে পারেনি তারা জিতলে কে হবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী।
বিভক্ত বিরোধী শিবির : বিজেপি বিরোধী চাপান উতোর চালিয়ে গেলেও বিরোধী দলগুলো নির্বাচনের সময় ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারেনি। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তাদের মধ্যে বরং বিভক্তির ছাপ দেখা দিতে থাকে। কোথাও কোথাও দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়েছে। ঐক্যবদ্ধ বিজেপি জোট এ সুযোগ পুরোমাত্রায় কাজে লাগিয়েছে।
নেতিবাচক রাজনীতি : বিরোধী দলগুলোর নেতিবাচক রাজনীতিও তাদের পরাজয়ের বড় কারণ। ক্ষমতায় এলে কী করবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার পরিবর্তে তারা সরকারি দল ও জোট বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিন্দামন্দ করতেই বেশি ব্যস্ত ছিল। রাহুল গান্ধীর ‘চৌকিদার চোর হ্যা’ সেøাগানও হালে পানি পায়নি।
নারী ভোটার : বিজেপি জোটের জয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে নারী ভোটারদের। প্রধানমন্ত্রী মোদি তার বর্তমান মেয়াদে নারী কল্যাণমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এই ভোটারদের আস্থা অর্জনে সক্ষম হন। এমনকি তিন তালাক প্রথা বাতিলের উদ্যোগ নিয়ে মোদি মুসলমান নারীদেরও মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
জাতীয় নিরাপত্তা : বালাকোটে বিমান হামলা চালিয়ে মোদি সরকার জাতীয় নিরাপত্তা প্রশ্নে ভারতীয়দের আশ্বস্ত করতে সক্ষম হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা আরও সুসংহত হয়েছেÑ ভোটারদের এমন ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছে এনডিএ সরকার।
উন্নয়ন কর্মসূচি : বিজেপিসহ জোটের শীর্ষ নেতারা তাদের নির্বাচনী প্রচারে বর্তমান সরকারের আমলে গৃহীত উন্নয়ন কর্মকা- সফলভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হন। গোটা মেয়াদে বাস্তবায়ন করা কিছু জনকল্যাণমূলক পদক্ষেপ গ্রামাঞ্চলের ভোটারদের মন জয়ে সক্ষম হয়।
জোটনীতি : নির্বাচনকেন্দ্রিক জোট গঠন, আসন বণ্টন ও নির্বাচনী কৌশল নির্ধারণে প্রতিপক্ষের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে ছিল বিজেপি। বিপরীতে কংগ্রেস ও এর মিত্ররা তেমন কৌশল গ্রহণ করতে পারেনি; বরং বিভিন্ন রাজ্যে তারা পরস্পরবিরোধী তৎপরতায় জড়ায়।
রাজনৈতিক কৌশল : বিজেপি নির্বাচনে আসনসংখ্যা ধরে রাখতে কিছু কৌশল নিয়েছিল। উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে যদি পরাজিত হয়, সে ক্ষেত্রে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দলটি পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার মতো রাজ্যগুলোয় বেশি আসন জয়ের দিকে মনোযোগী হয়েছিল। এটি তাদের বড় সুবিধা এনে দিয়েছিল। দলটি ওইসব রাজ্যে বেশি আসন হারায়নি; বরং কোথাও কোথাও ভালো করেছে। সঙ্গে নতুন করে মনোযোগ দেওয়া রাজ্যেও আসন বাড়িয়ে নিয়েছে।
হিন্দুত্ব : হিন্দুত্ববাদকে মোদি ও তার দল সবসময়ই কাজে লাগিয়েছেন। এটি তারা কখনো লুকোয়নি; বরং প্রচার করেছে।
জাত সমীকরণ : বহু জাত প্রথায় বিভক্ত ভারতে এই ইস্যুতে বিজেপি তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিল। এই ইস্যুতে বিজেপির সমীকরণ ছিল স্পষ্ট। একইসঙ্গে তারা বিরোধীদের সমীকরণ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। দলিতদের মন জয়ে বিজেপি সরকার বেশ কিছু কাজও করেছিল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়