লিহান লিমা: লোকসভা নির্বাচনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইভিএম নিয়ে তর্কে জড়িয়েছে শাসক ও বিরোধী দলগুলি। মোট ২২টি বিরোধী দল অভিযোগ করেছে, ইভিএম কারচুপি করে জিততে চায় বিজেপি। গতকাল সারারাত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ইভিএম পাহারা দিয়েছে বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। এনডিটিভি, ওয়ান ইন্ডিয়া, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটে অংশ নিয়েছে এমন দলের কর্মীরা ইভিএম পাহারার কাজে যুক্ত হতে পারে। দলীয় কর্মী ছাড়াও যিনি প্রার্থী হয়েছেন তিনিও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। নির্বাচন কমিশন জানায়, ‘নির্বাচন শেষে প্রতিটি স্ট্রং রুম সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রার্থী ও কমিশন নিযুক্ত অবজারভারদের সামনে ‘ডবল লক’ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সর্বোচ্চ নজরদারিতে স্ট্রং রুমে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট মেশিন একশো ভাগ সুরক্ষিত।’
তবে এতে আশ্বস্ত নয় বিরোধী শিবির। ভোপালের সেন্ট্রাল জেলে স্ট্রং রুম ঘুরে দেখেন কংগ্রেস নেতা দিগি¦জয় সিং। চন্ডীগড়ের কংগ্রেস কর্মীরা গত সোমবার থেকেই স্ট্রং রুমের বাইরে বসে আছেন। মধ্যপ্রদেশে ও আমেথিতে একই চিত্র দেখা গিয়েছে। মুম্বাইয়ের কংগ্রেস প্রার্থী মিলিন্দ দেওরা নির্বাচন কমিশনকে দেয়া এক চিঠিতে প্রতিটি স্ট্রং রুমে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার পাসওয়ার্ড প্রার্থীদের দেয়ার দাবি করেছেন। উত্তরপ্রদেশ-পূর্ব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াংকা গান্ধী, বুথ ফেরত জরিপে হতাশ না হয়ে গণনাকেন্দ্র পাহারা দিতে বলেছেন। একই আহ্বান জানিয়ে কর্মীদের সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘সতর্ক থাকুন, আগামী ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন অন্য সমস্ত কাজ বাদ দিয়ে পাহারা দিতে। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যেও তিনি একাধিকবার বলেছেন আপনারাও নজর রাখবেন। মাঝরাতে ইভিএম বদলানোর চেষ্টা হতে পারে, রুখে দেবেন।
এর আগে ২২টি বিরোধী দল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। সেখানে তারা বলে ৫টি রাজ্যের ভোট গণনার সময় আগে ভিভিপাট গুনতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে চেন্নাইয়ের একটি সংস্থা ১০০ শতাংশ ভিভিপাট গোনার দাবি জানায়। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালত বলে এমন দাবি উদ্ভট এবং তা মেনে নেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। বুধবার নির্বাচন কমিশনও এই দাবি খারিজ করে।
আপনার মতামত লিখুন :