এসএম নূর মোহাম্মদ : ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা একটি মামলায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে অসামঞ্জস্য থাকায় তা পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে গতকাল হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সিভিল সার্জন শাহ মোজাহেদুল ইসলাম। আদালত ক্ষমা না করে চিকিৎসককে বলেন, এভাবে যদি ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দেন তাহলে জাতির কাছে কী বার্তা যায়? এভাবে রিপোর্ট দেয়ার কারণে একটা মামলার বিচার প্রভাবিত হয়, এমনকি রায় ভিন্ন হয়। বাদি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়। আদালত বলেন, যেখানে মেয়েটির মা ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে মামলা করেছে, সেখানে চিকিৎসক ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে কীভাবে অসঙ্গতিপূর্ণ মন্তব্য করেন?
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী থানার সপ্তম শ্রেণিপড়ুয়া মাদ্রাসা শিক্ষার্থী সীমাকে গণধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছিলেন সীমার মা শীলা আক্তার। গত বছরের ২৪ অক্টোবর পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়। ওই মামলায় হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামি দানেশ চৌকিদার। এ জামিন আবেদনের শুনানিতে নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়। এতে অসামঞ্জস্য পেলে আদালত পটুয়াখালীর সিভিল সার্জনকে তলব করেন।
সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ বলেন, ধর্ষণের শিকার নিহত শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের বর্ণনায় চারটি ক্ষতের কথা উল্লেখ আছে। অথচ মন্তব্য অংশে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে, যা দুর্ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই রিপোর্টের সঙ্গে একমত পোষণ করেন সিভিল সার্জন।
আপনার মতামত লিখুন :