ফাতেমা ইসলাম : ঈদ উপলক্ষে কুষ্টিয়ার লুঙ্গি, গামছা, বিছানা চাদরের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ। নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাত দিন পরিশ্রম করছেন তাঁতীরা তবে অর্থ ও দক্ষ শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছেন শিল্পের সাথে জড়িতরা। এ জন্য তারা চান সরকারের সহায়তা। সময়
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তাঁত পল্লীর ঘরগুলোতে এখন ৪৪ হাজার হস্ত চালিত আর ১ হাজার ২৩৭টি বিদ্যুৎ চালিত তাঁতের খট খট শব্দ।
রমজানের এই সময় ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা। ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শেষ মুহূর্তের কর্মযজ্ঞে মুখর কুমারখালী উপজেলার ২৩টি গ্রাম। এসব কারিগরের নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে গামছা, লুঙ্গি, চাদর, বেডশিটসহ নানা ধরণের তোয়ালে।
পুঁজির স্বল্পতা আর শ্রমিক সংকটের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন মালিকরা। কাঁচামালের দাম বাড়লেও তৈরি করা গামছা, লুঙ্গি, চাদর, বেডশিটের দাম বৃদ্ধি পায়নি। এ কারণে পণ্য উৎপাদনে সংকটে পড়ছে এ শিল্পের সাথে জড়িতরা।
তাঁতীরা বলছেন, ঈদের সময় লুঙ্গির চাহিদা থাকে এজন্য বেশি বোনাতে হয়। সরকার যদি আমাদের সহায়তা করে তাহলে আমরা আগে থেকে এগুলো উৎপাদন করে রেখে বিক্রি করতে পারি।
অবশ্য তাঁত শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের বিষয়ে আশ্বাস দেন তাঁত বোর্ডের কর্মকর্তারা।
কুষ্টিয়ার তাঁত বোর্ডের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, সারা দেশে ১৫৮ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছে। যেটা আগামী ঈদের আগে তারা সুবিধা পাবে। বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বস্ত্র শিল্পের বার্ষিক আয় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। সম্পাদনা : এইচএম জামাল