হ্যাপি আক্তার : বেসিক ব্যাংক জালিয়াতি মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় উচ্চ আদালত কয়েকবার উষ্মা প্রকাশ করলেও টনক নড়ছে না দুর্নীতি দমন কমিশনের। মামলার চার বছরেও মূলহোতারাও রয়ে গেছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। আলোচিত এই ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগপত্র কবে দেয়া হবে সে বিষয়েও কিছু বলছে না সংস্থাটি। এমন অবস্থায় বেসিক ব্যাংকের তদন্ত নিয়ে দুদকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক। তবে দুদকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের তদন্ত চলমান থাকায় ঋণ জালিয়াতির প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। ডিবিসি নিউজ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে উঠে আসে আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান থাকার সময় ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে নিয়ম ভঙ্গ করে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়।
২০১৪ সালের ১৪ জুলাই দুদকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বেসিক ব্যাংকে লুটপাটের বিস্তারিত বিবরণ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জালিয়াতির জন্য বাচ্চুকেই দায়ী করা হয়। ২০১৫ সালে বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি নিয়ে ৫৬টি মামলা করে দুদক। তবে এসব মামলার কোনোটিতেই আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
মামলার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে দুদকের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে ক্ষোভও জানিয়েছেন উচ্চ আদালত। দুদক আইনে সর্বোচ্চ ১৮০দিনের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও বেসিক ব্যাংকের বেলায় এ সময় কেন কয়েকগুণ বেশি তা জানতে চেয়েছিলেন আদালত।
এ বিষয়ে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বেসিক ব্যাংকের জালিয়াতির জন্য মূল যারা দায়ী, তারা শীর্ষ পর্যায়ের তাই তাদের প্রভাব কোনো না কোনোভাবে দুদকে পড়ছে।
তবে তদন্তে দেরি হলেও জালিয়াতির মূলহোতারা পার পাবেন না বলছেন, দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান। তিনি বলেন, একটি জিনিস শুদ্ধভাবে দেয়ার জন্য যদি একটু বিলম্ব হয়, সেটা আমি মনে করি উত্তম। কারো নাম নিয়ে কথা বলা সঠিক না। তবে যদি সত্যিকার অর্থেই কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তাহলে তিনি বাদ পড়ে যাবেন এমন আশঙ্কা আমার অন্তত নেই। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :