লিহান লিমা: ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে ঐক্যজোট গড়ার তোড়জোড়। বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের বিপরীতে মহাঐক্যজোট গড়তে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা। ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী ২১ মে’ বিরোধী নেতাদের দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিরোধী ঐক্যজোটের এই প্রচেষ্টায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অন্ধপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও তেলেগু দেশম পার্টির (টিডিপি) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। টাইমস অব ইন্ডিয়া
ইতোমধ্যেই নাইডু কংগ্রেসের প্রধান রাহুল গান্ধী, এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ার ও সিপিআই নেতা ডক্টর রাজা ও জি শুধাকর রেড্ডি, বিজু জনতা দলের প্রধান নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে দেখা করেছেন। এর আগে লখনৌতে নাইডু আলোচনায় বসেছেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী ও এসপি প্রধান অখিলেশ যাদবের সঙ্গে। উত্তপ্রদেশে জোট গড়া এসপি-বিএসপি এনডিএ-বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধলে তা বিজেপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। এই দুই নেতাই নাইডুকে বিরোধী জোটে যোগদানের প্রস্তাব বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া নাইডু সিপিএম নেতা সিতারাম ইয়েচুরি ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন। নাইডু ডানপন্থী, কমিউনিস্ট পার্টি, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলগুলোকে একসূত্রে গাঁথতে চাইছেন। বিজেপিকে হঠাতে এসপি-বিএসপির সঙ্গে একজোট হতে রাহুলের কাছ থেকে ইতিবাচক ইঙ্গিতও পেয়েছেন তিনি।
নাইডু বলেন, ‘আমি প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড়ে নেই। এটি পরিষ্কার। বিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমার প্রচেষ্টা কোন ব্যক্তিগত স্বার্থে নয়। আমার লক্ষ্য গণতন্ত্রের সুরক্ষা। বিজেপি বিরোধী সব দলকেই আমরা মহাজোটে স্বাগত জানাব।’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, জোট করার জন্য দলের নেতাদের এই কাজ স্থিতিশীল সরকার গঠন ও জোট দলের গ্রহণযোগ্য নেতা নির্ধারণী প্রক্রিয়ায় কাজে দেবে। সব নেতারাই একমত হয়েছেন, বিরোধী দলের সঙ্গে বেশিরভাগ আসনে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করা কংগ্রেসই মহাজোটের নেতৃত্ব দেবে।