শিমুল মাহমুদ : আদালতের কাছে কোন ক্ষমতা নেই। সব ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সুতরাং প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপরে নির্ভর করে বেগম জিয়ার মুক্তি কিংবা জেলে থাকা। তাই এদেশের আইন ও আদালতের ওপরে মানুষের ভরসা করার কোন জায়গা নাই।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম মন্তব্য করেছেন, কোর্টকাচারী নাকি টাকা দিয়ে কেনা যায়। কিন্তু বিচারপতি তা শোনেও নি, পড়েও নি। এটা আদালত অবমাননা হলো না? কোর্ট-কাচারী টাকায় কেনা যায় তার জানা আছে। এ কথা বলার পরেও আদালত থেকে কেউ কিছু বললো না। নাসিম সাহেবেকে ডাকলো না। একথা যদি আমি বলি তাহলে আদালতে নিয়ে দাঁড় করাবে।
গয়েশ্বর বলেন, আমরা জানি দানবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন যথেষ্ট নয়। রাজপথে আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আপোসহীন নেত্রীর কর্মী হিসেবে রাস্তায় দাঁড়াতে পারি, রাস্তার মোকাবিলা করতে পারি, তাহলে অবশ্যই এ সরকারের যত শক্তিই থাকুক, খালেদা জিয়াকে তারা জেলে আটক রাখতে পারবে না।
তিনি বলেন, সে কারণে আমাদের সকল নেতাকর্মীর একটি অঙ্গীকার থাকতে হবে, জেল জুলুম যাই হোক, আমরা নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য যে কোনো ধরনের আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকবো। এ অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি যখন সরকার লক্ষ্য করতে পারবে, তখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ ত্বরান্বিত হবে। শুধুমাত্র আকুতি মিনতি অথবা মানবতার কথা বলে, অসুস্থতার কথা বলে প্রধানমন্ত্রীর হৃদয় কখনও টলবে না। কারণ যার হৃদয় নেই, তার কাছে আবেদন নিবেদন অগ্রাহ্য হবে এটাই স্বাভাবিক। সে কারণে বলছি, আন্দোলন সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :