শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১২ মে, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল
আপডেট : ১২ মে, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যমজদের গ্রামের ব্যাখ্যা আজও বিজ্ঞানীদের অধরা

বাবলু ভট্টাচার্য : কোডিনহি, দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের প্রত্যন্ত একটি গ্রাম৷ কিন্তু বর্তমানে এই গ্রাম বিশ্বজোড়া পরিচিতি পেয়েছে ‘যমজদের গ্রাম' হিসেবে। একটি গ্রামে এলে চমকে যাবেন না৷ গ্রামের রাস্তাঘাটে, খেলার মাঠে, স্কুলে বা অফিসে সর্বত্র জোড়ায় জোড়ায় মুখ দেখতে পাবেন৷ এক স্কুলের প্রধানশিক্ষক জানান, তাঁর স্কুলেই ১৭ জোড়া যমজ আসে রোজ৷ আবার খেলার মাঠে যমজ খেলোয়াড়দের নিয়েও দর্শকরা মাঝে মাঝে বিভ্রান্তিতে পড়েন৷ ব্যাপারগুলো যেমন মজার তেমনই আশ্চর্যের৷ কোচি বন্দরের মাত্র ১৫০ কিমি দূরত্বে এই গ্রামে ঢুকে এমনই দেখবেন৷ ভাবছেন, সত্যিই কি তাই? সার্কাস বা পেশাদার থিয়েটার নয়, আসলে মালাপ্পুরম জেলার কোডিনহি গ্রামের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই রয়েছে যমজ ভাই-বোন৷ গ্রামে ঢোকার আগেই সাইনবোর্ডে দেখতে পাবেন, ‘ঈশ্বরের একান্ত আপন যমজদের গ্রাম– কোডিনহি৷'
এখানে হাজারটি জন্মের মধ্যে ৪২টি জন্মই যমজদের৷ ২০০৮ এর পরিসংখ্যানে তাকালে দেখা যাবে, এই গ্রামে জন্ম নিয়েছিল ২৬৪ যমজ শিশু, সংখ্যাটা বেড়ে এখন ৪৫০ এ দাঁড়িয়েছে৷ সারা বিশ্বে যমজ সন্তান প্রসবের যে হার, কেরালার এই গ্রামে সে হার প্রায় ছয় গুণ বেশি৷ গ্রামের ৮৫ শতাংশ মানুষ মুসলিম হলেও হিন্দুদের মধ্যেও যমজ সন্তান জন্মের হার একইরকম৷ যমজের জন্মের এই আশ্চর্য ঘটনা বিশ্বে কেবল কোডিনহিতে নয়, আরও দু'টি গ্রামেও ঘটে৷ নাইজেরিয়ার ইগবো গ্রামটিতে যমজ শিশু জন্মের এই ধারা শুরু হয়েছিল ৬০-৭০ বছর আগে৷ যমজের সংখ্যা এরপর ক্রমেই বেড়েছে৷ দেখা গেছে, বিয়ের পর কোনও মহিলা এই গ্রামে এলে তিনিও যমজ সন্তান প্রসব করছেন৷ স্থানীয় চিকিৎসক শ্রীবিজু জানালেন, পাশ্চাত্যের মতো এ গ্রামে সন্তান জন্মের জন্য কোনো কৃত্রিম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় না৷  গ্রামবাসীরা তো যমজ জন্মের এই ব্যাপারটিকে ঐশ্বরিক আশীর্বাদ বলে ধরে নিয়েছেন৷ গ্রামের সবচেয়ে বয়স্ক যমজরা এখনও বেঁচে৷ কুনহি পাথুটি এবং পাথুটি নামের সত্তর বছরের এই দুই বোনের দাবি, সবটাই তবে বিজ্ঞানীরা হাল ছেড়ে দেননি৷
যমজ জন্মের নেপথ্যে জেনেটিক, অর্থাৎ জিনগত নাকি আবহাওয়ার কারণ দায়ী, তার পরীক্ষা চলছে৷ বিভিন্ন দেশ থেকে বিজ্ঞানীরা ভগবানের এই আপন দেশে এসে যমজদের বিভিন্ন জৈবিক নমুনা সংগ্রহ করে চলেছেন৷ ২০০৬ সালে এই যমজদের সুরক্ষার জন্য সমিতিও গড়ে উঠেছে৷ দুঃস্থ যমজদের পরিবারকে সাহায্যের জন্য এই সমিতি গড়ে তোলা হয়েছে৷ ভারতবর্ষে এমন সমিতি আর নেই৷ আপাতত সারা বিশ্বের গণমাধ্যমের চোখের মনি এই গ্রাম৷ দেখা যাক, আরও কত কী অভিনব হয় যমজদের গ্রামে!

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়