শিরোনাম
◈ স্থানীয় জনগণ ও বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে  পরিকল্পনা প্রণয়ণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ সব শক্তি, সাহস পেয়েছি মা-বাবার কাছ থেকে: প্রধানমন্ত্রী ◈ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ◈ অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফেরত পাঠাবে ব্রিটেন  ◈ কুমিল্লায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত ৫, আহত ৭ ◈ নাইজেরিয়ায় মসজিদে তালা দিয়ে আগুন, ১১ মুসল্লির মৃত্যু ◈ র‌্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হচ্ছে, এমন দাবি মিথ্যা: যুক্তরাষ্ট্র ◈ স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীর প্রাণহানি চেষ্টার নিন্দা জানালেন শেখ হাসিনা ◈ এনইসি সভায় ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন ◈ বর্তমান ডামি সরকার দেশটিকে একটি লুটপাটের দেশ বানাতে চাচ্ছে: রিজভী

প্রকাশিত : ১০ মে, ২০১৯, ১১:১৫ দুপুর
আপডেট : ১০ মে, ২০১৯, ১১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসলামি আইনের দেশ ব্রুনেই দেখতে যেমন

আল-আমিন : পরিচ্ছন্ন পরিপাটি, রাস্তাঘাটগুলো গাছে গাছে সাজানো আর সাথে পথচারীদের জন্য আছে পর্যাপ্ত জায়গা। বন্দর সেরি বেগাওয়ান- ব্রুনেই এর রাজধানী, নিয়ম মাফিক চলা অত্যন্ত শান্ত ও নিরাপদ শহর। মসজিদের দৃষ্টিনন্দন মিনার, কিছু দারুণ কারুকাজ এবং সুলতানের বড় বড় ছবি- আপনাকে বলে দেবে এটি ব্রুনেই।

এখানে সুলতানের হাতেই সব নির্বাহী ক্ষমতা। তিনি একই সাথে প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থমন্ত্রী এবং হেড অফ ইসলাম। তার কথাই এখানে আইন। এক সময় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনে ছিলো। পরে ১৯৮৪ সালে স্বাধীনতার পর সুলতান মালয় মুসলিম রাজতন্ত্রের ধারণা ঘোষণা করেন। (সূত্র : বিবিসি)

দেশটি আসলে মালয় ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রথার একটি মিশেল, যেখানে ইসলামি আইন শেখা ও রাজতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করা ও মেনে নেয়া এবং চর্চা করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক। স্বাধীনতার পর থেকেই সুলতান ক্রমশ ব্রুনেইকে ইসলামি কঠোর নিয়ম কানুনের দিকে নিয়ে যান।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ইসলাম বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ডমিনিক মুলার যিনি ব্রুনেই সম্পর্কে পড়াশোনা করেছেন। তার মতে, ‘১৯৮৭ সালে হজ করে আসার র থেকেই গত তিন দশকে সুলতান ধর্মের দিকে বেশি করে এগিয়েছেন। তিনি শরিয়া আইন চালু করার ক্ষেত্রে বারবারই আল্লাহর দিক থেকে আসা বাধ্যবাধকতার ওপর জোর দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ইসলামি আমলাতন্ত্রের প্রভাব অতিরঞ্জিত নয়। ব্রুনেইতে কোনো বিরোধী দল নেই, এমনকি স্বাধীনতার পর থেকে কোনো স্বাধীন সিভিল সোসাইটি গ্রুপও গড়ে উঠেনি। ১৯৬২ সালে যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছিলো, কার্যত সেটিই চলছে এখনো, যেখানে সমাবেশ ও মত প্রকাশের অধিকার দারুণভাবে সীমিত। গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনা এবং কেউ ‘সীমা লঙ্ঘন’ করলে বন্ধ করে দেয়ারও নজির আছে।

রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বিবিসি সংবাদদাতা কথা বলেন দুজন তরুণ পেশাজীবীর সাথে, বিশেষ করে গত দু দশকে তেল ও গ্যাস থেকে আসা অর্থে উন্নত হওয়া ব্রুনেইয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে। যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সরকারকে বাজেট ঘাটতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।

চাকরির প্রথাগত উৎস অর্থাৎ সরকারি খাত সংকুচিত হওয়ায় বেকারত্ব বেড়েছে আর কমেছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। তবে সরকারের একটি কর্মসূচি আছে ভিশন ২০৩৫ নামে। কিন্তু তারপরেও উন্নতি আটকে আছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়