শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৯ মে, ২০১৯, ০৮:৫২ সকাল
আপডেট : ০৯ মে, ২০১৯, ০৮:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট খুবই প্রিয়

আমিন মুনশি : রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর নিকট খুবই প্রিয়। হাদিস শরিফে এসেছে, মেশকের সুঘ্রাণের চেয়েও আল্লাহর নিকট রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ অধিক প্রিয়। (বোখারি : ১৮০৫) এ হাদিসটির ফলে একদল আলেম মনে করেন, দিবসের শেষে মুখের দুর্গন্ধ যাতে দূর না হয় তাই মেসওয়াক করা মাকরূহ। দীর্ঘক্ষণ অভুক্ত থাকার ফলে দিবসের শেষান্তে রোজাদারের মুখ দুর্গন্ধে ভরে যায়।

রোজাদারের ক্ষেত্রে মেসওয়াকের মাসআলায় উলামাগণ বিভক্ত হয়ে পড়েছেন, কেউ মনে করেন- শর্তহীনভাবেই রোজাদার ব্যক্তি মেসওয়াক করতে পারবেন। কেউ বলেন, সূর্য হেলে পড়ার পর মেসওয়াক করা মাকরূহ, এর পূর্বে মোস্তাহাব। কেউ বলেন, কেবল আসরের পরই মেসওয়াক করা মাকরূহ হবে, অন্য সময় নয়। অপর কতক ওলামার মত এই যে, বিষয়টিকে ফরজ ও নফলের ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে দেখা হবে। রোজা যদি ফরজ হয়, তবে সূর্য হেলে পড়ার পর হবে মাকরূহ, নফলের ক্ষেত্রে মাকরূহ হবে না। কারণ, এ পদ্ধতিটিই রিয়া হতে অধিক মুক্ত। প্রথম মতটিই অধিক যুক্তিযুক্ত। (দ্র : ইবনে আব্দুল বার রচিত তামহিদ ১৯/৫৭, আইনি রচিত উমদাতুল ক্বারী ১৬/৩৮৪)

উল্লেখিত হাদিসটির অর্থ হচ্ছে, রোজাদারের মুখের এ গন্ধ, যাকে তোমরা দুর্গন্ধ বলে অবহিত করি, আল্লাহ তাআলার নিকট মেশকের চেয়েই উত্তম, ভালো ও প্রিয়—যাকে তোমরা সুগন্ধি বল। কারণ, এ গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে তার ইবাদত পালন ও আল্লাহ তাআলার হুকুমের অনুবর্তী হওয়ার ফলে। মুখের গন্ধ মৌলিকভাবে প্রিয় ও ভালো নয়, এবং তা দূর করার ব্যাপারে বান্দার উপর কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। ভেজা ও শুকনো মেসওয়াকের মাঝে রাসুল পার্থক্য করেছেন, এমন কোন প্রমাণ আমরা পাই না। তাই, সালাফের অধিকাংশই এ দুয়ের মাঝে পার্থক্য করতেন না। ইবনে সীরীনের নিকট আগমনকারী জনৈক ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন : ...এতে কোন অসুবিধা নেই, এ কেবল খেজুরের ডাল, এর স্বাদ রয়েছে। যেমন স্বাদ রয়েছে পানির, অথচ তা দিয়ে তুমি কুলি কর। (ইবনে আবি শায়বা : ৯১৭১)

ইবনে উলয়া বলেন, রোজাদার কিংবা পানাহারকারী—উভয়ের জন্যই মেসওয়াক করা সুন্নত। শুকনো কিংবা ভেজা মেসওয়াক— দুটোই এ ক্ষেত্রে বরাবর। (ইবনে আব্দুল বার : তামহিদ ৭/১৯৯)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়