কেএম নাহিদ : বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে দেশটির দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এনপিপি নির্মাণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে কয়েকটি চীনা কোম্পানি। প্রস্তাবিত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দুটি চীনা কোম্পানি দংফেং ইলেকট্রিক কর্পোরেশন (ডিইসি) ও চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি) ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এটমিক এনার্জি কমিশনে নেয়ার তৎপরতা চাচ্ছে। তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গুয়াংডং নিউক্লিয়ার পাওয়ার গ্রুপসহ আরো কয়েকটি চীনা কোম্পানি দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়েছে। চলতি বছরের জুনের দিকে এই কেন্দ্রের জন্য স্থান নির্বাচন করা হতে পারে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন জানান যে তারা স্থান নির্বাচনের সময় আরো ছয় মাস বাড়াতে পারেন। সাউথ এশিয়া মনিটর
এ প্রসঙ্গে তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মোহাম্মদ বলেন, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের ব্যাপারে চীনা কোম্পানির আগ্রহ প্রকাশে অবাক হওয়ার কিছু নেই। সরকার যেহেতু জ্বালানি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোতে তেমন স্বচ্ছতা রক্ষা করে না তাই অনেক চীনা কোম্পানি পেছনের দরজা দিয়ে প্রকল্প লাভের চেষ্টা করছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব আনোয়ার হোসেন জানান, দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে চীনাদের আগ্রহ সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। তিনি বলেন, হয়তো প্রকল্প একটি সুনির্দিষ্ট রূপ নেয়ার আগ পর্যন্ত এটমিক এনার্জি কমিশন অপেক্ষা করবে।
কর্মকর্তারা বলছেন যে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য সরকার উপক‚লীয় এলাকায় দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে চাচ্ছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লি শীতল রাখার জন্য প্রতিদিন সন্নিহিত পদ্মা নদী থেকে ১,৭৫০ ঘনমিটার পানি টেনে আনা হবে। ২,০০০ মেগাওয়াটা বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতাসম্পন্ন প্রস্তাবিত কেন্দ্রটি নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এটমিক এনার্জি কমিশন জাপানের এটমিক এনার্জি এজেন্সিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছে।