মাসুদ আলম : গ্রাম বাংলার আবহে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে র্যাবের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। শনিবার রাজধানীর কুর্মিটোলা র্যাব সদর দফতরে বৈশাখ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল,র্যাব ডিজি বেনজীর আহমেদসহ প্রসাশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। শনিবার দুপুর থেকে শুরু হয়ে অনুষ্ঠান চলে বিকেল পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, র্যাবের প্রত্যকটি ব্যাটালিয়ন আলাদাভাবে স্টল সাজিয়েছে। আয়োজনও করেছে আলাদাভাবে। র্যাব-১, র্যাব-৩ ও র্যাব-৪ এর পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা, অতিথি আপ্যায়ন, মিষ্টি দেওয়া আর স্পেশাল পান বিতরণ করা হয়। র্যাব-১১ এর পক্ষ থেকে বিশাল বড় স্টলে ছিল মুড়ি, খই, মোয়া, জিলাপি, বাতাসা, তিলের খাজা, নাড়ু আর কদমা। র্যাব-১০ এর পক্ষ থেকে তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ছিল আখের রস। এছাড়া আরেকটি স্টলে ছিল লাচ্ছি, ফালুদা, গুড় আর রুটি। যার যে পরিমাণ দরকার তিনি ততটুকুই নিতে পারছেন। র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে গ্রামীণ আবহের একটি স্টল সাজানো হয়েছে। র্যাব-১২ এর স্টল সাজানো হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প দিয়ে। সেখানে তাঁতের শাড়ি,ফতুয়াসহ নানা পোশাক নানা প্রকার উপাদান স্থান পেয়েছে। বৈশাখের আয়োজনে বেড়াতে এসে অনেকে এই স্টল থেকে কেনাকাটাও করেছে। দামিও তুলনামূলক কম থাকায় খুশি ক্রেতারা। র্যাব-১৪ এর স্টলে ছিল পাহাড়ি আসবাবপত্র, উপজাতীয় হস্তশিল্প, মনিপুরি ও বার্মিজ পণ্যের সমাহার। র্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় বাঁদর ও পুতুল নাচের। র্যাব-১৩ এর স্টল ছিল রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শতরঞ্জি। এছাড়া স্টল গুলোতে সাজানো ছিল বেত দিয়ে তৈরি রিকশা ও ছোট ছোট অস্থায়ী ঘর। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া অনেকে তাদের অতীত স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, অনেক দিন পর এমন পরিবেশে আসার সুযোগ হয়েছে। ব্যস্ততম রাজধানীতে এটি ছিল ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন।
পাশাপাশি সীমিত লাভে মালামাল বিক্রি করেও খুশী বিক্রেতারা। তারা বলেন, অতিথির সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত থাকায় এখানে ক্রেতার সংখ্যা ছিল কম।
র্যাবের মিডিয়া শাখার সিনিয়র সহকারি পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, অতিথিদের আনন্দের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করেছে র্যাব। অনুষ্ঠানের গ্রাম বাংলার বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :