মৌরী সিদ্দিকা : পঞ্জিকা অনুযায়ী বাংলা সনের প্রথম দিনে বাঙ্গালী ব্যবসায়ীদের একসময় হালখাতা খোলার প্রচলন ছিলো। এইদিনে ব্যবসায়ীরা তাদের পুরণো বছরের লাল মলাটের হিসাবের খাতা বন্ধ করে নতুন বছর উপলক্ষে নতুন টালি খাতা খুলতেন। নতুন খাতা খোলার মাধ্যমে পুরনো সব দেনা-পাওনাও নতুন খাতায় তোলা হতো। দোকান সাজিয়ে ক্রেতাদের আপ্যায়ন করার রেওয়াজও ছিলো। কিন্তু এখন হিসাব-নিকাশ প্রযুক্তি নির্ভর হওয়ায় হালখাতার চল তেমন একটা দেখা যায় না। বিবিসি বাংলা
নতুন বছরের শুরুতে হালখাতা খোলার চল থাকলেও হারিয়ে যেতে বসেছে সেই ধারা। যদিও এখনো কোনো কোনো ব্যবসায়ী চেষ্টা করছেন সেই ঐতিহ্য ধরে রাখার। চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের কিছু পুরনো ব্যবসায়ী ছোট পরিসরে সেই পুরনো দিনের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করে হালখাতা উৎসব পালন করে যাচ্ছেন।অবশ্য দেশের সর্বত্রই হালখাতা করার চল রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ যেহেতু বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মার্কেট তাই বিবিসি সেখানকার হালহকিকত জানার চেষ্টা করে।
খাতুনগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী বলেন, যত প্রযুক্তি আসবে আসুক কিন্তু পুরনো যে ঐতিহ্য আছে এটা ধরেই রাখবো। হালখাতা জিনিসটা এক রকম আর এই প্রযুক্তি জিনিসটা অন্য রকম। হালখাতা বছরে একবার করতেই হবে। খাতাগুলো চেঞ্জ করতে হবে, নতুন খাতায় আমরা লিখবো। আমি নিজেও মোবাইল, কম্পিউটার ব্যবহার করি। তবে আমি আমার পূর্ব পুরুষের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চাই।
পঞ্জিকা অনুযায়ী তারা হালখাতায় লেখেন। বিয়ে-এরকম সব ধরনের পারিবারিক এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোও পালন করে থাকেন পঞ্জিকামতে।
আপনার মতামত লিখুন :