শিরোনাম
◈ হোয়াটসঅ্যাপ দিয়ে অবস্থান শনাক্ত করছে ইসরায়েল, ইরানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিষিদ্ধের পরামর্শ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভের মুখে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির! ◈ ইসরায়েলে ফাত্তাহ-১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান: আইআরজিসি ◈ ইরান কখনো আপস করবে না: খামেনি ◈ নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান, প্রস্তুত গুলশানের বাড়ি ◈ ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিদেশে যেভাবে কাজ করে! ◈ ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে যোগ দেয়ার সম্ভাবনা 'বিবেচনা' করছেন ট্রাম্প, যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে বের হয়েছে আমেরিকার বোমারু বিমান ◈ দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস ◈ ইসরা‌য়ে‌লের হু‌শিয়া‌রি: যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করলে সাদ্দামের মতোই ইরা‌নের স‌র্বোচ্চ ‌নেতার জন্য ফাঁসির মঞ্চ প্রস্ত‌ত ◈ ইসরাইলে এখন পর্যন্ত যে হামলা হয়েছে তা সতর্কতামূলক, শিগগিরি শাস্তিমূলক অভিযান শুরু হবে: নতুন সেনাপ্রধা‌নের কড়া বার্তা 

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:০৮ রাত
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ০২:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পায়রা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ চায় চীন, এএনআই প্রতিবেদন

আসিফুজ্জামান পৃথিল : ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে, চীনা ভূ-রাজনৈতিক অর্থনৈতিক করিডোরের উপর নির্ভর করে, বাংলাদেশ ও চীন তাদের পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ নামের এই উদ্যোগের লক্ষ্য হলো চীনের ঐতিহাসিক সিল্ক রোডের মর্জাদা ফিরিয়ে এনে এশিয়ান দেশগুলোতে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধি করা। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে বাংলাদেশ চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ। আর দেশের দক্ষিণে নবনির্মিত পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দর চীনের লক্ষ্য পূরণে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। চীন শুরু থেকেই বন্দরটির উন্নয়ন এবং পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায়। এই কথাগুলো বলছে ভারতের বার্তসংস্থা এএনআই। তাদের মতে আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে এই বন্দরটির বড় প্রয়োজন চীনের। এএনআই, ইয়ন নিউজ।

দুটি চীনা কোম্পানি পায়রা বন্দরের কাজ পেয়েছে। একটি হলো চায়না হারবার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিএইচইসি) এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসসিইসি)। তারা বন্দরের প্রধান অবকাঠামো এবং আনুষাঙ্গিক অবকাঠামো উন্নয়নে ৬০ কোটি ডলারের কাজ পেয়েছে। বাংলাদেশের বন্দর বিষয়ক এক উচ্চপদস্থ কমকর্তা বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন চীনা কোম্পানিকে ছোটছোট কাজ দিয়ে আপাতত ধোঁয়াসা তৈরী করা হচ্ছে। চীন এই গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায়। যা তাদের দেওয়ার যথেষ্ঠ সম্ভাবনা রয়েছে।

হাম্বানটোটা বন্দর নির্মানের জন্য একই রকম পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছে চীন। ‘অবপ’ প্রকল্পের আওতায় চীন শ্রীলঙ্কার মাহিন্দা রাজাপাকসে সরকারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদান করে এবং ধীরে ধীরে বন্দরটির অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ নেয় দেশটি। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া পুরোপুরি কাজে লাগানো নাও যেতে পারে। কারণ তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামো মজবুত। ২০১৭ সালে চীন হাম্বানটোটাকে ৯৯ বছরের জন্য লিজে পেয়েছে চীন।

তবে পায়রার ক্ষেত্রে এতো বড় স্বপ্ন দেখেনা দেশটি। তারা শুধু বন্দরটিতে কাজ করতে চায় এবং সম্ভব হলে পরিচালনার দায়িত্ব পেতে চায়।

পায়রা বন্দরে চীনের স্বার্থ মূলত ভূ-রাজনৈতিক। এই বন্দরের মাধ্যমে সাগরে বন্দরের ‘নেকলেস’ পূরণ করতে চায় চীন। পাকিস্তানের গোয়াদর বন্দরের মাধ্যমে তারা পেয়েছে আরব সাগরের প্রবেশাধিকার, হাম্বানটোটা চীনের জন্য ভারত মহাসাগরের দুয়ার। আর পায়রা হতে পারে বঙ্গোপসাগরে চীনের বিচরণক্ষেত্র। সম্পাদনা : ইকবাল খান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়