আল-আমিন: ঢাকায় বিরাজমান আগুন আতংক। অন্যদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামেরও ৯৩ শতাংশ বহুতল ভবনের কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। ফায়ার সার্ভিসের এক জরিপ থেকে জানা যায়, আইন থাকার পরও প্রায় ৯৭ শতাংশ ভবন ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র নেয়নি। আর ৪১টি বিপণী বিতান এবং ১২টি বস্তি রয়েছে মারাত্মক অগ্নি-ঝুঁকিতে। সময় টিভি
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কর্ণফুলী নদীর তীরবর্তী চাক্তাই বস্তিতে আগুনে পুড়ে এক শিশুসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ২০০৪ সালে কালুরঘাট এলাকায় একটি গার্মেন্টসে আগুনে অন্তত ৬০ জনের মৃত্যু হয়। এতকিছুর পরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল খুব কম লোক।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, আমরা একটা তালিকা করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দিয়েছি। সিটি কর্পোরেশন বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে এসে দেখবে ভবনগুলো ঝুঁকিপ‚র্ণ কি-না।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বলছে, প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তারা ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবনগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। গত এক বছর ধরে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে আটটি জোনে ভাগ করে নানামুখি জরিপ চালিয়ে আসছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, নগরীতে ২০ হাজারের বেশি বহুতল ভবন থাকলেও তার অধিকাংশের কোনো অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নেই। বিএমডিসি কোড অনুযায়ী বসবাসের ছাড়পত্র নিয়েছে মাত্র ৩ শতাংশ বহুতল ভবনের মালিক।
সিডিএ আরো বলছে, ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবন শনাক্তে জনবল সংকট ও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।