কেএম নাহিদ : ইলিনয় স্টেট ইউানিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, ভৌগলিক ভাবে আইএস খেলাফতের কথিত পরাজয় বলা হলেও আদর্শ হিসেবে, এইসব অনুসারীরা কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি। ফলে আমাদের বিপদের কিন্তু শেষ হয়নি। আইএস অনুসারিরা ট্রেনিং নিয়ে বসে থাকবে না। আর এ ঝুঁকির মধ্যে বাংলাদেশও বাদ যাবে না। বোরবার বিবিসির সাথে একান্ত আলাপকালে একথা বলেন তিনি। বিবিসি বাংলা
তিনি বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমরা লক্ষ করছি, এরা ছড়িয়ে পড়ছে, এবং দুই ভাবে ছড়িয়ে পরার আশংকা থাকে। এইসব এলাকা সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, প্রভৃতি এলাকায় এক ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ পেলে তার সক্রিয় হবে। দ্বিতীয়ত যারা আইএস’ এর ডাকে ও আদর্শে অনুপ্রানিত হয়েছে, তারা যখন নিজ দেশে ফিরে আসবে তারা কী ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়াবে সেটা ভেবে দেখতে হবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জর ব্যাপার। যেমনটা আমরা আফগানিস্থান, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, ফিলিপিন্সে দেখছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তুলনামূলকভাবে ঝুঁকির পরিমাণ কম থাকলেও , সরকার আইএস’ এর অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও হলি আর্টিজমের হামলা দেখেছি। তার পর যে সমস্ত অভিযান দেখেছি, তাতে দেশের বাইরে থেকে আসা কিছু লোক ও মরে গেলো। আবার কিছু কিছু লোক আছে যারা এখন দেশের বাইরে থেকে আসতে চাচ্ছে। এটা দেশের জন্য দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিভিন্ন রকম নিরাপত্তামূলক অভিযান চালোনো হলোও। আদর্শীকভাবে মোকাবেলায় বাংলাদেশ তেমন দাবী করতে পারবে না।
যেকোনো ধর্মের উগ্রবাদ মোকাবেলা উপায় হলো আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরি। পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা। এক্ষেত্রে দায়িত্ব সরকারের। শুধু পুলিশি অভিযান দিয়ে উগ্র সন্ত্রাস মোকাবেলা করা সম্ভব না। যে সমস্ত কারণে একজন মানুষ উগ্র সন্ত্রাসবাদে জড়ায় তা চিহ্নিত করে এর মোকাবেলা করতে হবে। এগুলো নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে হবে। সমাজে যদি সহিংসতা উগ্রপন্থা সেটা যেকোনো নামে হোক বিদ্যমান থাকে তবে এই সমস্ত সংগঠন শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে। সেদিকে নজর দিতে হবে সরকার, জনগণ-সকলের।
আপনার মতামত লিখুন :