জাবের হোসেন : ২) ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন এক আন্দোলন দেশবাসীকে চোখে আঙ্গুল দেখিয়ে দেয়, কী চলছে সড়ক পথে,আর কি চলবার কথা। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নির্দেশনা সাত মাসেও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। শিশু-কিশোরদের ওই আন্দোলনের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। আসে কিছু দৃশ্যমান পরিবর্তনও। এই কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারও উচ্চকিত আন্দোলন কারীরা। এদিকে প্রতিদিনই ঝরছে মানুষের প্রাণ। গেল মঙ্গলবার রাজধানীতে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আবারও রাজপথে শিক্ষার্থীরা। চ্যানেল২৪।
৩) যদিও সড়কের এই বিশৃঙ্খলা রোধে গেল বছর সুনির্দিষ্ট বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৭মাসে তার কতখানি বাস্তবায়ন করতে পেরেছেন সংশ্লিষ্টরা। চালকরা বলছে, আমাদের এখনও সিঙ্গেল ড্রাইভাররায় গাড়ি চালাতে হয়। মাজেমধ্যে ৬ ঘন্টার জায়গায় ১২ ঘন্টাও লেগে যায়। এখনতো আমাদের কিছু করার নেই, এর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছিলো তার কিছুই করা হয়নি।
৪) বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায় ২ জন করে চালক আমরা রাখতে চাই, মাঝ পথে বিরতি দিতে চাই। কিন্তু চালকের অভাবে সেটা এখনও করা যাচ্ছে না। আমাদে ১৪- ১৫ লাখ চালকই নেই সেখানে দুইজন করে ড্রাইভার দেয় এখন কিভাবে সম্ভব।
৫) সড়ক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. এস এম সালেহ উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত যে পাঁচ বিষয় আছে, অতিদ্রুত পারলে আগামীকাল থেকে বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন এর জন্য আইন, নথিপত্র ইত্যাদি দেখার সময় পার হয়ে গেছে। যারা এতদিন করেনি তাদের এটার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সড়কের নৈরাজ্য যে অবস্থায় পৌঁছেছে এসব কোনো অজুহাতই এখন আর গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনার মতামত লিখুন :