ফাহিম বিজয় : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসুর নতুন নির্বাচনের দাবিতে অনশন অব্যহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। রোকেয়া হলের পাঁচ ছাত্রী বুধবার রাত থেকে গেটের সামনে অনশন করছেন। তারা অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের হেনস্তা করেছেন। কিন্তু ছাত্রলীগ তার অস্বীকার করেছেন। বিবিসি বাংলা
এদিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মেঝের উপর চাদর আর বালিশ পাতা। সেখানেই দুদিন ধরে আছেন অনশনকারীরা। তাদের একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধি মোঃ রবিউল ইসলাম। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই শিক্ষার্থী সমাজ সেবা বিষয়ক সম্পাদকের পদে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি অনশনে যোগ দেয়ার কারণ হিসেবে বলেন, একজন প্রার্থী নির্বাচনের দিন যেকোন হলে প্রবেশ করতে পারবে এমন একটি পরিচয় পত্র চিফ রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে তাদের দেয়া হয়েছিলো।
কার্ড দেখানোর পরেও আমাকে রোকেয়া হল এবং মৈত্রী হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। আমার আবাসিক এবং অনাবাসিক বন্ধুরাও ভোট দিতে পারেননি। তিনি নতুন করে নির্বাচন দাবি করেছেন।
রোকেয়া হলের প্রধান গেটের সামনে অনশতরত পাঁচজন শিক্ষার্থীর একজন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক পদে দাঁড়ানো শ্রবণা শফী দিপ্তী। তিনি অভিযোগ করেন, রাতে ছাত্রলীগের ছেলেরা তাদের হেনস্তা করেছেন এবং হল কর্র্তৃপক্ষ তাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়নি। জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে মোটর সাইকেলে কওে যাবার সময় আমাদেরকে উত্তক্ত করেছেন। রোকেয়া হলের নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রাধ্যক্ষ জিনাত হুদার পদত্যাগ চান এই শিক্ষার্থী। প্রভোষ্ট শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
জিনাত হুদা বলেন, ছাত্রীরা তার ডাকে সাড়া দেননি। তিনি বলেন, আমার কাজ হলো, প্রতিটি ছাত্রীর নিরাপত্তা দেয়া। যখন তারা বাইরে অবস্থান করেছে, আমার প্রায় ত্রিশজন হাউস টিউচর দফায় দফায় ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সারাদিন আমি বসে রয়েছি। আমি বলেছি, তোমরা আমার কাছে আসো অথবা আমি তোমাদের কাছে যাই। আজকেও আমি বলেছি, কিন্তু তারা আসবে না।
আন্দোলনকারীরা কোনদিকে যাবেন এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান বলেন, কঠোর আন্দোলনের ইঙ্গিত তো আমরা দিয়েছি। কঠোরতর আন্দোলন বলতে ক্লাস বর্জনের দিকেই যাওয়া লাগতে পারে। সর্বাত্মক ধর্মঘট হতে পারে। আমরা সকল শিক্ষার্থীর মতামত নিয়েই এমন একটি আন্দোলনের দিকে যাবো।
ছাত্রলীগের আন্দোলন দমনের যে অভিযোগ ওঠেছে তার জবাবে জিএস পদে জয়ী ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগ যদি আন্দোলন দমন করতে চাইতো তাহলে এমন একটি অযৌক্তিক আন্দোলন তারা চালিয়ে যেতে পারতো না। আমরা যদি শক্তি প্রয়োগ করতে চাই তাহলে কেউ থাকতে পারবে না।