কামরুল হাসান : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, টেলিযোগাযোগখাতের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিটিআরসি। সব কাজের সমন্বয় করে যাচ্ছে। এতদিন সংস্থাটির নিজস্ব কোনো ভবন ছিল না। এবার সংস্থাটির নিজস্ব ভবন হতে যাচ্ছে। নতুন ভবনে এসে বিটিআরসি আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবন নির্মাণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বিটিআরসির দায়িত্ব টেলিযোগাযোগ খাতের শৃঙ্খলা বজায় রাখা। তবে বিটিআরসি’র সামনে আপাতত কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। যেসব কাজ আছে সংস্থাটি তা জনকল্যাণে নিজেরাই করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসির চেয়ারম্যান জহুরুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমারসহ অন্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিটিআরসি প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর এবং জমি বরাদ্দ পাওয়ার ১১ বছর পর আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবন। ২০০২ সালে বিবিআরসি প্রতিষ্ঠার পর ভবন নির্মাণের জন্য ২০০৮ সালের ১৫ জুলাই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বিটিআরসিকে জমি বরাদ্দ দিলেও এতদিন তা বাস্তবে রুপ পায়নি। অবশেষে গত ১০ জানুয়ারি দোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে। এর পর থেকে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। ভবন নির্মাণে খরচ হবে ২১৯ কোটি টাকা। ৩৯ হাজার ৫২১ বর্গমিটারের ৩টি বেইজমেন্ট ও একটি সেমি-বেইজমেন্টসহ ১২ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০০২ সালের ৩১ জানুয়ারি ৪১ জন জনবল নিয়ে বিটিআরসি গঠিত হয়। গঠনের পর নিজস্ব ভবন না থাকায় সংস্থাটির ঢাকার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (আইইবি) ভবনের তিনটি ফ্লোর ভাড়া করে দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ভাড়া বাবদ প্রতিবছর ১১ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয় করছে।
আপনার মতামত লিখুন :