শিরোনাম
◈ মুরাদনগরের ধর্ষণ মামলায় নতুন মোড়: স্বামীর পরামর্শে ভুক্তভোগীর ‘স্বেচ্ছায়’ মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ◈ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবশেষে সাহসী সিদ্ধান্ত জর্ডানের ◈ ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি স্থগিত, বিকেলে আন্দোলকারীদের সঙ্গে বসবেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ উত্তরায় ‘মব’ সৃষ্টি করে হোটেল দখলের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৯ ◈ ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার ◈ যে কারণে মারা গেলেন "কাটা লাগা" গানের মডেল শেফালী (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ বিমানবন্দরের ‘স্পর্শকাতর প্রকল্পে’ আমিরাতি রাষ্ট্রদূতের অংশীদারত্ব, জড়িত ২ বাংলাদেশিও ◈ গোপন ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ফাঁস: ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তেলআবিবের অভিজাত এলাকা ◈ ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর: শহিদদের স্মরণ ও রাজনৈতিক বার্তা দেবে এনসিপি ◈ ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা 'র' এর নতুন প্রধান পরাগ জৈন, ১ জুলাই থেকে দায়িত্ব গ্রহণ

প্রকাশিত : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৭:৫৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দেশের ৫ লাখ সিএনজি চালিত যানবাহনের মাত্র ১৫ ভাগের সিলিন্ডার পরীক্ষা করা হয়, সতর্ক হওয়ার পরামর্শ জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের

শাহীন চৌধুরী: এ বছর জানুয়ারি মাসে সর্বশেষ হিসাবে দেখা যায় সারা দেশে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৮৬৪। এর মধ্যে সিলিন্ডার পরীক্ষা করা হয়েছে মাত্র ৯১ হাজার ৭৭১টির। এই মোট যানবাহনের প্রায় ১৫ ভাগ। এছাড়া আড়াই লাখের বেশি যানবাহনের সিলিন্ডার রয়েছে যেগুলোর মেয়াদ শেষ হলেও পরীক্ষা করা হয়নি। অথচ পাঁচ বছর অন্তর গ্যাস সিলিন্ডার পরীক্ষা করার বিষয়ে আইনি বাধ্যবাধকতা আছে ২০০৫ সালে প্রণীত সিএনজি বিধিমালায়। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ব্যাপারে এখনই সতর্ক না হলে দুর্ঘটনা বন্ধ হবে না।

সূত্রমতে, যেসব যানবাহনে জ্বালানি হিসেবে সিএনজি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর সিংহভাগই রূপান্তরিত। সিএনজিতে রূপান্তরিত যানবাহনের সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ২৩৯। আর আমদানি করা সিএনজিচালিত যানবাহন আছে ৪০ হাজার ৩৮৩টি। এর বাইরে সারা দেশে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার চলাচল করছে। বিআরটিএর হিসাবে, সারা দেশে সাড়ে তিন লাখ প্রাইভেট কার চলছে। সিএনজিতে রূপান্তরিত যানবাহনের মধ্যে প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি।

রাজধানীতে বাসে চড়ে চলাচল করে ৬৫ শতাংশের বেশি মানুষ। কমবেশি একই চিত্র দেশের সবখানেই। যাতায়াতের প্রধানতম এ বাহন দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে সিএনজি ফুয়েল সিস্টেমে চলা বাসগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জরিপ বলছে, সিএনজিতে চলা ৪৪ শতাংশ বাসের গ্যাস সিলিন্ডারের মেয়াদ ঠিক নেই। সিএনজিচালিত অন্যান্য যানবাহনেরও বড় অংশ চলছে মেয়াদহীন গ্যাস সিলিন্ডারে। রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (আরপিজিসিএল) তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে সিএনজিচালিত যানবাহনের সিলিন্ডারের অর্ধেকই রয়েছে মেয়াদহীন অবস্থায়।

এদিকে মেয়াদহীন এসব সিলিন্ডারকে ‘চলন্ত বোমা’ হিসেবে দেখছেন আরপিজিসিএলের কর্মকর্তা ও পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে যানবাহনের জ্বালানি হিসেবে সিএনজির বিকল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে বিআরটিএ। দেশে সিএনজিচালিত বাসের সংখ্যা কত, তার সঠিক তথ্য নেই আরপিজিসিএলের হাতে। যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বিআরটিএর কাছ থেকেও। তবে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাজধানীতে চলাচল করা ৯০ শতাংশ বাসই সিএনজিচালিত। জ্বালানি খরচ কমিয়ে আনতে দূরপাল্লার রুটসহ দেশের অন্যান্য এলাকায়ও বাড়ছে সিএনজিচালিত যানবাহন।

বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, সবসময় সিলিন্ডারের প্রেসারটা ঠিক রাখতে হয়। এজন্য পাঁচ বছর পর পর এটি পরীক্ষা করানোর নিয়ম। সিলিন্ডারের ভাল্ব (মুখ) ঠিকমতো বন্ধ আছে কিনা, সেটি নিয়মিত দেখা জরুরি। পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণেরও একটা ব্যাপার থাকে। কোনো যানবাহনে যদি মেয়াদোত্তীর্ণ বা অপরীক্ষিত সিলিন্ডার থাকে, এর যেকোনো একটিতে সমস্যা হতে পারে। যেকোনো সময় সেই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হতে পারে।

সূত্রমতে, দেশে আরপিজিসিএল অনুমোদিত সিএনজি ফিলিং স্টেশন আছে ৬০০টি। এর মধ্যে চালু স্টেশনের সংখ্যা ৫৪৯। স্টেশনগুলোর মধ্যে ৩২৪টি তিতাস, ৭৫টি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, ৫৭টি জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, ৬৬টি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও ২৭টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের। এসব সিএনজি স্টেশন প্রতিদিন ৩ দশমিক ২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ব্যবহার করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়