কেএম নাহিদ : সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান মনে করেন, ভারত পাকিস্তানের বর্তমান যে যুদ্ধ শুরু হলো তা দীর্ঘ মেয়াদ পাবে না। বর্তমান যুদ্ধের জন্য তিনি পাকিস্তাননকে দোষারোপ করেন। বুধবার ডিবিসির টেলিভিশনে রাজকাহন অনুষ্ঠানে একথা বলেন, সাবেক এ কূটনীতিক। তিনি বলেন, পাকিস্তান সাথে ভারতের এ পর্যন্ত ৪ বার যুদ্ধ বেধেছে, কিন্তু তা দীর্ঘতা লাভ করবে না। এবারও এ যুদ্ধ বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তিনি বলেন, যেহেতু যুদ্ধাবস্থা ঘোষণা করা হয়নি, তাই শান্তির সুযোগ আছে। কারণ এটা এখনো বর্ডার সমস্যা হিসেবে আছে। যদিও এর আগে কাশ্মীর সীমান্তে পাল্টাপাল্টী আক্রমণে পাকিস্তানের বেসামরিক এবং ভারতের ৫ সেনা আহত সেনা আহত হয়। দুইদেশের সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। রক্তপাত হচ্ছে, তবে শান্তির স্থাপনের এখনো অনেক সুযোগ আছে মনে করেন সাবেক এই পররাষ্ট্র সচিব।
ওয়ালিউর রহমান বলেন, ২৬ শে ফেব্রæয়ারি কাশ্মীর নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে, সন্দেহ ভাজন বিচ্ছিন্নবাদীদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত অংশে সন্দেহ ভাজন বিছিন্নবাদীদেও ওপর হামলা করে ভারত। ভারত বলেছে তারা জয়েস-ই-মোহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদীন ও লস্কর-ই-তায়েবার স্থাপনার ওপর হামলা করে। আর এতেই যুদ্ধের সূত্রপাত ওয়ালিউর রহমান বলেন, ভারতের ৪০ জনকে হত্যা করেছে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠি। পাকিস্তান বলেছে জয়েস-ই-মোহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদীন ও লস্কর-ই-তায়েবার, মাসুদ আজাহার, তাদের লোক না। জয়েস-ই-মোহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদীন ও লস্কর-ই-তায়েবার কে জাতি সংঘের সিকিউরিটি কাউন্সিল ব্লাক লিষ্টে রেখেছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো এই দুটি সংঘটাকে পাকিস্তানে মূল রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে জয়েস-ই-মোহাম্মদ, মাসুদ আজাহারকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবার নির্বাচনে তাদের মনোনয়ন দেন। কিন্তু তারা নির্বাচিত হতে পারে নাই। এতে দেখা যায় পাকিস্তান পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের মদদ দিচ্ছে। এ দেশে বিরাট সেনাবাহিনী প্রায় ৬ লক্ষাধিক তারা এ বিশাল সেনাবাহিনী দিয়ে কি করবে। তবে তিনি বলেন, যেহেতু যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়নি পাকিস্তান বলতে পারে তোমরা কেনো আমাদের সাধারণ মানুষ হত্যা করছো। কারণ এটা এখনো বর্ডার সমস্যার মধ্যে আছে। যদিও ভারতের বিমান ভূপাতিত হয়েছে, তারা প্রতিশোধ নিতে পারেই কিন্তু যুদ্ধাঅবস্থা ঘোষণা করা যেহেতু হয়নি আমরা বলবো এখন শান্তি বজায় রাখা যায়। ।
তিনি বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রটা টিকে আছে যুদ্ধের ওপর, কারণ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া এদেশটি টিকে আছে সম্পূর্ণভাবে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে। জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকার ৫ বছর কখনো পার করতে পারে নাই। তাদের মতো অর্থনৈতিভাবে ভঙ্গুর তবে সম্প্রতি চীন তাদের ৬০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে ঋণ দিয়েছে। পাকিস্তানের এ বিপুল পরিমাণ ঋণ পরিশোধ পাকিস্তানের পক্ষে সম্ভব না, তারা শ্রীলংকার মতো পোর্টসুবিধা দেয়ার মতো অবস্থা হবে। এই অবস্থায় পাকিস্তান যুদ্ধে যাবে না।