ফিরোজ আহমেদ : সত্যি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যোদ্ধা হলে আপনারা যে দফতরগুলো ঘুষ খেয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবনকে অনিশ্চিত করে, তাদের শাস্তির অঙ্গীকার করতেন। বলতেন এক সপ্তাহে না হোক, এক মাসের মধ্যে প্রতিটি দালানে বিস্ফোরক, পরিবেশ, গৃহায়ন সম্পর্কিত যতোগুলো আইন ভাঙা সত্ত্বেও এভাবে লাখ লাখ মানুষের জীবনকে নিরাপত্তাহীন করছে, তার তদন্ত শেষে জড়িত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনবেন।
উল্টো পুরান ঢাকার সব মানুষকে দোষী সাব্যস্ত করছেন! মানুষের মৃত্যুতেও আপনাদের হুঁশ হয় না! যাদের কারণে এসব রাসায়নিকের গুদাম টিকে থাকে, বাড়ির মালিকদের উপায় থাকে না গুদাম না বানিয়ে, তাদের কেশ স্পর্শ করার মুরোদ আছে আপনাদের? এমনকি সাধারণ মানুষ যদি ভুল করেও থাকে, আপনাদের বেতন কেন দিই নিরাপত্তার নামে? আপনারা যদি সনদ না দেন, কোনো বাড়িতে এই গুদাম থাকতে পারতো? দোষ স্বীকার করবে না এই আধুনিক নিরোর গোষ্ঠী, বাঁশি বাজাবে পুরান ঢাকার আগুনের দৃশ্যে। সরকারি সংস্থাগুলো ছাড়া এই মৃত্যুতে সত্যিই আর কেউ দায়ী নয়, আর কেউ নয়।
চোরের মায়ের বড় গলা যেমন : উল্টো আবার ভয় দেখায় বুলডোজার দিয়ে পুরান ঢাকা গুঁড়িয়ে দেয়ার! আমলা যেহেতু, সংজ্ঞা অনুযায়ী তারা সর্ববিদ্যা পারদর্শী হয়ে থাকেন। স্থাপত্য বলেন, পুরাতত্ত্ব বলেন, নগর পরিকল্পনা বলেন, সকল বিষয়েই তারা বিশেষজ্ঞ। ধরে আন, বেঁধে আন, গুঁড়িয়ে দে, সোজা করে দে- আর বিদ্যালয় শিক্ষকদের ধরে ধরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালাও। শোক যথেষ্ট নয়, এদের বিরুদ্ধে তুমুল ক্রোধে ফেটে পড়া দরকার। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :