শিরোনাম
◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত ◈ কতটুকু জায়গা ছাড়তে হয় বাড়ি করার সময়, জেনে নিন আইনে কী আছে ◈ লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭৪ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:০৩ রাত
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:০৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করার সময় আটক দাখিল মাদ্রাসার সুপার

ডেস্ক রিপোর্ট : ৭০০ কেজি সরকারি পাঠ্যবই বিক্রি করার সময় ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চপই দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. হারুন অর রশিদকে আটক করেছেন স্থানীয় ক্ষুব্ধ লোকজন। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে আটক করা হয়। খবর পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়ে তাঁকে মুক্ত করেন। স্থানীয় লোকজনের সামনে বইগুলো জব্দ করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে জমা রাখেন তিনি। সূত্র : প্রথম আলো

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য সরকারি বই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিক্রি করতে পারে না। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণের পর যদি বই উদ্বৃত্ত থাকে, তাহলে সেগুলো শিক্ষা কার্যালয়ে ফেরত পাঠাতে হবে। উদ্বৃত্ত বই সরকারিভাবে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়ে থাকে।

চপই দাখিল মাদ্রাসা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১১টি বস্তায় ভরা বিক্রীত বইগুলোর মধ্যে চলতি (২০১৯ সাল) শিক্ষাবর্ষের কয়েকটি বই রয়েছে। বাকি বইগুলো ২০১৮ ও ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের অব্যবহৃত। এসব বই কেজি দরে কিনেছেন উপজেলার মুশুলি ইউনিয়নের দাপনহাটি গ্রামের মো. লিটন মিয়া। মাদ্রাসার আঙিনায় দাঁড়িয়ে কথা হয় লিটন মিয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, মাদ্রাসা সুপার মো. হারুন অর রশিদ ১১ টাকা কেজি দরে বই ও খাতা বিক্রি করেছেন। রোববার বইগুলো তিনি বুঝে নিচ্ছিলেন। লিটন মিয়া বলেন, তিনি একজন কাগজ ক্রেতা। গ্রামে ঘুরে তিনি কাগজপত্র কেনেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, এই মাদ্রাসা থেকে বছরে একাধিকবার সরকারি বই ও শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র কেজি দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে। এসবের পেছনে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের কয়েক জন সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রোকন উদ্দিন আহমেদ বলেন, বই জব্দ করে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাদ্দেক মেহদী ইমামকে অবহিত করা হবে। পরে তিনি যে ব্যবস্থা নিতে বলবেন, সেটাই করা হবে। ইউএনও মোসাদ্দেক মেহদী ইমাম বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিবেদন পেলেই তিনি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। সম্পাদনা : রেজাউল আহসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়