মোহাম্মদ মাসুদ: জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেছেন, আবাসিক এলাকা এবং ব্যবসায়িক এলাকা একসাথে থাকতে পারে না। মানুষের বসবাসস্থলে কেমিক্যালের গোডাউন থাকবে এর বড় কারণ হচ্ছে মানুষের সচেতনতার অভাব। শুক্রবার ডিবিসি নিউজ’র সংবাদ সস্প্রসারণ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, ২০১০ সালে নিমতলীর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিলো এবং সেখানে ১৭ দফা সুপারিশ করা হয়। ওখানে প্রথম কথা ছিলো আবাসিক এলাকা এবং কেমিক্যাল গোডাউন একসাথে থাকা যাবে না, এগুলোকে সরিয়ে নিতে হবে। পরবর্তীতে নিমতলী থেকে কিছু গোডাউন সরিয়ে নেয়া হয়েছিলো।
তিনি আরও বলেন, পুরান ঢাকায় যেভাবে গোডাউন হচ্ছে সেটা তদারকির কেউ নেই। এর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং সিটি কর্পোরেশন দায়ী। এখানে অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব আছে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে গোডাউন সরিয়ে নিতে হবে। অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়াসহ অগ্নি নির্বাপন আইন ২০০৩ ও জাতীয় জাতীয় বিল্ডং কোড অনুযায়ী ভবন নির্মাণ নিশ্চিত করা দরকার এবং রাসায়নিক দ্রব্যের মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং বিক্রর জন্য লাইনেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে তদারকির প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে উল্লেখযোগ্য বিষয় গুলো বাস্তবায়ন হলে এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটতো না বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, মানুষের জীবন মূল্যহীন না। ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সর্তকতার সাঙ্গে যথাযথ পদক্ষেপ নিলে এধরনের ঘটনাগুলো রোধ করা যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :