শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৪:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভূমি অধিকার না পাওয়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে মধুপুরের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী

জান্নাতুল ফেরদৌসী: ভূমির অধিকার না পাওয়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে টাঙ্গাইলের মধুপুর শালবনের হাজার-হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসী। র্দীঘদিন ধরে এ নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম হলেও কোনো কাজ হয়নি। সম্প্রতি ইকো ট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি আলোচনায় আসায় নতুন করে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। সমস্যা সমাধানে ভূমির মালিকানা বা দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নেতারা। সময় টিভি

৩ বছর আগে মধুপুর গড়ের বিশাল এলাকা সরকার সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করেছে। ফলে যুগের পর যুগ ধরে বসবাস এবং জমিজমা ভোগদখল করলেও বেচাকেনা করতে না পারায় নানা সমস্যায় রয়েছেন তারা।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেন,  সেসব স্থানেই বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। আমাদের দাবি সরকার যেন এই ভূমির আইনগত স্বীকৃতি দেন আমাদের।

বাংলাদেশ ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা তুষার দারিং বলেন, সরকার যদি জমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তবে সেখানে আদিবাসীরা সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

মধুপুরের বনাঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কাউকে যেন উচ্ছেদ করা না হয়, সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জানিয়েছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানান, ৭ বছর আগে একটি গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে এই এলাকাকে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তার মানে এই নয় যে এই বনভূমির ভিতরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর যে মানুষেরা আছে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হবে।

টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় ও বন মন্ত্রণালয়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় সভাও হয়েছে, মন্ত্রণালয় থেকে দিক নির্দেশনা পেলেই আমরা এই জটিলতাগুলো নিরসন করতে সক্ষম হবো।

মধুপুরের ২০ হাজার ১শ ৯২ একর বনভূমির মধ্যে ২০১৬ সালে ৯ হাজার ১শ ৪৫ একর সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করে সরকার। এই অঞ্চলে গারো, কোচ, বর্মণসহ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় ২৫ হাজার মানুষ বসবাস করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়