শিরোনাম
◈ মুগদায় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় কিশোর নিহত ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা ◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি

প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মেধাস্বত্বকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

অনলাইন ডেস্ক : যেকোনও দেশের উন্নয়নের জন্য মেধাস্বত্ব সম্পদকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু মেধাস্বত্ব অধিকার সুরক্ষার বিষয়টি আমাদের দেশে তেমন কোনও তৎপরতা লক্ষ করা যায় না। এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্ বলেছেন, ‘মেধাস্বত্ব অধিকার উন্নয়নের মূলধারার সঙ্গে সম্পৃক্ত, সেটি এখনও আমরা বুঝতে পারিনি। এর মূল কারণ, এ বিষয়টিকে আমাদের দেশে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আমাদের এখন জেগে ওঠার সময় হয়েছে এবং জাতীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সঙ্গে এটিকে যুক্ত করতে হবে।’

শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বিশ্বে মেধাস্বত্ব সম্পদের গুরুত্ব অন্যান্য সম্পদের চেয়ে বেশি। শুধুমাত্র মেধাস্বত্বের সুরক্ষার জন্য মাইক্রোসফট বা গুগুল বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করছে। বর্তমান বিশ্বে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য এবং প্রথাগত জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত। ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে আমরা বেনারসি শাড়ি, ইলিশ মাছ এবং আমাদের অন্যান্য যেসব নিজস্ব পণ্য রয়েছে সেগুলোর নিবন্ধন করতে পারি। আবার প্রথাগত জ্ঞানের মাধ্যমে আমাদের নিজস্ব রূপকথা, গান বা অন্যান্য সম্পদের হিসাব রাখতে পারি।’

‘আমাদের দেশে গোটা বিষয়টি দেখাশোনার জন্য একটি জাতীয় কপিরাইট কাউন্সিল গঠন করা উচিত। বাংলাদেশে এ বিষয়টি দ্বিখণ্ডিত। এক্ষেত্রে কপিরাইটের বিষয়টি দেখে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, আর পেটেন্ট বিষয়টি দেখে শিল্প মন্ত্রণালয়। এই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদেরকে আইনি কাঠামো মজবুত করতে হবে। এজন্য এমন সংস্থা তৈরি করতে হবে যেখানে এ সম্পর্কিত আইন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। এর ফলে আমরাই বেশি উপকৃত হবো। এখানে স্থানীয়ভাবে মেধাস্বত্বের অনেক অপব্যবহার হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আমাদের ইন্টারনেট বা আইটি পণ্য এবং শিল্পীরা উপকৃত হবে।’

‘শুধু তাই নয়, আমরা যদি তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করতে চাই তবে তাদের মেধাস্বত্ব সুরক্ষা দিতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনে আমাদের এ বিষয়ে নজর দিতে হবে।’ উদাহারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘খাবার স্যালাইন বাংলাদেশে উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং এটি সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এর রয়্যালটির টাকা কে পায় আমাদের জানতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মেধাস্বত্ব দামের জন্য আমাদের দর কষাকষি করা উচিত। এটি ঠিক, ভবিষ্যতে আমাদের মেধাস্বত্ব কিনতে হবে বা রয়্যালটি দিতে হবে; কিন্তু এর দাম যেন অত্যাধিক না হয়।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়