আব্দুর রাজ্জাক : হন্যে হয়ে জল্লাদ খুঁজছে শ্রীলংকা। ইতোমধ্যেই জল্লাদের সন্ধানে দেশটির জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেয়া হয়েছে। মাদক মামলায় সাজা প্রাপ্ত আসামীদের মৃত্যুদ- কার্যকর করতে ২ জন জল্লাদের খোঁজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে শ্রীলংকার সরকার। ফিলিপাইন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশটি সম্প্রতি মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পুনরায় মৃত্যুদ- চালু করেছে। বিবিসি
শ্রীলংকার সরকারি দৈনিক ‘ডেইলি নিউজ’ এ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জল্লাদের জন্য আবেদনকারী প্রার্থীকে অবশ্যই দৃঢ় নৈতিকতা সম্পন্ন হতে হবে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, প্রতি জল্লাদকে মাসিক বেতন দেয়া হবে ৩৬ হাজার ৩১০ রুপি করে যা ১৫৮-২০৩ ডলারের সমপরিমাণ।
শ্রীলংকায় সাংবিধানিকভাবেই ধর্ষণ, হত্যা ও মাদক সংশ্লিষ্টতার জন্য মৃত্যুদ-ের বিধান রয়েছে। কিন্তু, ১৯৭৬ সালের পর থেকে কখনো তা কার্যকর করা হয়নি। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনা ফিলিপাইন সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মাদক বিরোধী নীতিতে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রীলংকায়ও তা কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেন।
মৃত্যুদ- কার্যকরে নতুন করে জল্লাদের সংকটে পড়েছে শ্রীলংকা। দেশটিতে ৫ বছর আগে সর্বশেষ জল্লাদ পদত্যাগ করার পর থেকে মৃত্যুদ- কার্যকরে কোন লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই আবারো স্থায়ীভাবে দেশটি দু’জন জল্লাদ নিয়োগ করবে। তবে এর জন্য শুধু মানষিকভাবে শক্তিশালী পুরুষদেরই খোঁজা হচ্ছে যাদের বয়স ১৮-৪৫ বছরের মধ্যে।
২০১৪ সালে মৃত্যুদ- কার্যকর করতে গিয়ে মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ার পর পদত্যাগ করেন সর্বশেষ জল্লাদ। গতবছর আরো একজনকে নিয়োগ দেয়া হলেও তাকে দিয়ে কোন কাজ করানো সম্ভব হয়নি। তবে দেশটিতে এখন প্রায় ১৩শ মৃত্যুদ-ের আসামী রয়েছে যার ৪৮ জনই মাদক সংশ্লিষ্ট।